জুলাই ২৭, ২০২৪

শনিবার ২৭ জুলাই, ২০২৪

জনসমাগমস্থলে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের রায় হাইকোর্টের

জনসমাগমস্থলে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের রায় হাইকোর্টের
ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের রায় হাইকোর্টের। ছবি: ইউনিসেফ/ইউএনআই214746/পাঞ্জওয়ানি

সব কর্মস্থল, এয়ারপোর্ট, বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশন, শপিং মলের মতো জনসমাগমস্থলে এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত, পরিচালিত ও ব্যবস্থাপনায় বিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ‘ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার’ স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ রোববার (২ এপ্রিল) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট ইশরাত হাসান। সঙ্গে ছিলেন এডভোকেট তানজিলা রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।

আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, মা ও শিশুদের অধিকার রক্ষায় হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিলের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোপূর্বে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানির পর আজ হাইকোর্ট এ যুগান্তকারী রায় ঘোষণা করলেন। আমাদের সংবিধানের ৩২নং অনুচ্ছেদে স্বীকৃত অন্যতম মৌলিক অধিকার জীবনের অধিকার বিষয়ে এ রায় নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক রায়।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর কর্মস্থল, এয়ারপোর্ট, বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশন, শপিংমলের মতো জনসমাগমস্থলে এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত, পরিচালিত ও ব্যবস্থাপনায় বিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং ও বেবি কেয়ার কর্নার স্থাপনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

রিট আবেদনে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা সংক্রান্ত পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনও সংযুক্ত করা হয়। জনস্বার্থে ৯ মাস বয়সী শিশু উমাইর বিন সাদী ও তার মা অ্যা এডভোকেট ইশরাত হাসানের দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে এ রুল জারি করেন আদালত।

ইশরাত হাসান বলেন, বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে ৯ মাস বয়সী কোনো শিশু এই প্রথম পিটিশনার হয়েছে। ছোট্ট শিশুর রিট পিটিশনার হতে আদালতের অনুমতিও নিতে হয়েছিল ওই সময়ে। পরে ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট সারা দেশের কলকারখানা ও মিলগুলোতে দুই মাসের মধ্যে ব্রেস্ট ফিডিং রুম স্থাপনে নির্দেশ দেন।

তিনি আর বলেন, অনেক কর্মস্থলে বা বাস, ট্রেন স্টেশনে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার না থাকায় মায়েদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। নিরাপদ পরিবেশের অভাবে ও যৌন হয়রানির ভয়ে মায়েরা শিশুদের বুকের দুধ পান করাতে পারেন না। অথচ একজন শিশুর মানসিক ও শারীরিক বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মায়ের বুকের দুধ। আমার মতো হাজার হাজার মা এ সমস্যার সম্মুখীন হন।