
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ছাত্রদল আয়োজিত ‘ইন্টার-ডিপার্টমেন্ট ফুটসাল টুর্নামেন্ট ২০২৫’-এ ব্যবহার করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরঞ্জাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠ ব্যবহার করে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করে নোবিপ্রবি ছাত্রদল।
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে নোবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মাঠে এ টুর্নামেন্টের প্রথম খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২৯ নভেম্বর নোবিপ্রবি ছাত্রদলের ফেসবুক পেজ থেকে ৫৫ তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আন্তঃবিভাগ ফুটসাল টুর্নামেন্টের ঘোষণা দেয়া হয়।
সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয়ে নোবিপ্রবি ছাত্রদলের তিনজন প্রতিনিধি নোবিপ্রবির শারিরীক শিক্ষা বিভাগে খেলার সরঞ্জাম এবং অনুমতির জন্য আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আবেদন মঞ্জুর করে শারীরিক শিক্ষা বিভাগ। এরই সাথে তারা ফুটবল ৪টি, নেট ২টি, কর্নার ফ্ল্যাগ ৪টি, কার্ড ২টি, ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড এবং ১টি রশির জন্য আবেদন করে। তবে উক্ত সরঞ্জাম না থাকায় তাদের দেয়া হয়নি। শুধু রশি ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়।
সরঞ্জাম ব্যবহার এবং ছাত্রদলের নাম উল্লেখের বিষয়ে জানতে চাইলে নোবিপ্রবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হোসেন বলেন, আমরা শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কোন ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করেনি শুধুমাত্র কয়েকটি চেয়ার নিয়েছি। আবেদন পত্রে ছাত্রদল উল্লেখ ছিল এবং যারা আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন তারা সবাই ছাত্রদলের পোস্টেড নেতা।
তিনি আরও বলেন, শারীরিক শিক্ষা বিভাগের অনুমতি নিয়ে আমরা খেলার আয়োজন করেছি। আমরা ছাত্রদলের পোস্টার অথবা কোন ব্যানার ব্যবহার করিনি। প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে আমরা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি ছাত্রদলের ব্যানারে ক্যাম্পাসের বাইরে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তবে আবেদনপত্রে দেখা যায়, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পরিচয়ে তিনজন শিক্ষার্থী সরঞ্জাম এবং অনুমতির জন্য আবেদন করেন। সেখানে কোন রাজনৈতিক সংগঠনের নামের উল্লেখ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক বলেন, আমি আজকে উপস্থিত ছিলাম না, তবে বিষয়টি আমি উপ-পরিচালক সঞ্জীব কুমারের থেকে শুনেছি। কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী ফুটবল খেলার আয়োজন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ ও কিছু ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। তারা কোন রাজনৈতিক দলের পরিচয় দেয়নি।
তিনি আরও জানান, যেহেতু ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ তাই আমরা রাজনৈতিক কোনো ছাত্র সংগঠনকে এক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারি না। আমরা বিষয়টি দেখছি, অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা আমাদের ইন্সট্রুমেন্ট দিব না এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিব।
নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত না, এ বিষয়ে শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালকের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো ।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর রিজেন্ট বোর্ডের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। তবে খাতা-কলমে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে নিয়মিতভাবে ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল তাদের বিভিন্ন দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।










