শুক্রবার ২৯ আগস্ট, ২০২৫

চালু হলো তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত ‘মওলানা ভাসানী সেতু’

রাইজিং ডেস্ক

Rising Cumilla - Mawlana Bhashani Bridge
মওলানা ভাসানী’ সেতু। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার মানুষের বহু প্রতীক্ষিত তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে উদ্বোধন করা হয়েছে। এই সেতু চালুর মধ্য দিয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হলো।

অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গাইবান্ধায় এই সেতুটির ফলক উন্মোচন করেন।

এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ, পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরীসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরপরই সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মুফতি মো. ওমর ফারুক দোয়ার মাধ্যমে সেতুর কার্যক্রমের শুভ সূচনা করেন।

এরপর ফিতা কেটে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে সেতুটির দ্বার খুলে দেওয়া হয়। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে ভোর থেকেই তিস্তার পাড়ে ভিড় জমায় দুই জেলার শত শত দর্শনার্থী। মানুষের উপচে পড়া ভিড় সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বেশ বেগ পেতে হয়।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, সেতুটির মাধ্যমে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে স্বল্প সময় ও খরচে শিল্প ও কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন এবং ছোট ও মাঝারি কলকারখানা প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এলাকায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং স্থানীয় আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়নের ফলে এই এলাকায় অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে।

দীর্ঘদিনের এই স্বপ্ন বাস্তব রূপ পাওয়ায় গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের মানুষের চোখে-মুখে ছিল উচ্ছ্বাস ও আনন্দের ছাপ।

উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট স্থানীয় সরকার বিভাগ এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সেতুটির নামকরণ করে ‘মওলানা ভাসানী সেতু, গাইবান্ধা’। বাংলাদেশ সরকার (জিওবি), সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ওফিড) যৌথ অর্থায়নে নির্মিত এই সেতুটির নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৯২৫ কোটি টাকা। ১৪৯০ মিটার দৈঘ্য এবং ৯.৬০ মিটার প্রস্থের সেতুটির লেন সংখ্যা ২টি এবং মোট স্প্যান সংখ্যা ৩১টি। এটি একটি প্রি-স্ট্রেসড কংক্রিট গার্ডার সেতু। সেতুর পাশাপাশি নির্মিত হয়েছে প্রায় ৮০ কিলোমিটার এক্সেস সড়ক, ৫৮টি বক্স কালভার্ট ও ৯টি আরসিসি সেতু।

 

আরও পড়ুন