চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাটের কাছে আল-বাখেরা নামে সারবাহী জাহাজে সাত শ্রমিক হত্যার ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
চাঁদপুর নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, আমরা এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা করতে পারিনি। তবে প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ পৃথক তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।
আজ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, এমভি আল–বাখেরা জাহাজে সাত খুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক ও যুগ্ম সচিবকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য সরকারকে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন নৌযান শ্রমিকরা।
এ সময়ের মধ্যে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা না হলে ২৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে সারা দেশের নৌপথ বন্ধ ঘোষণা করা বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সদস্য ও ঢাকা-চাঁদপুর লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুনুর রশিদ।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চাঁদপুরের নৌযান শ্রমিকরা লঞ্চঘাট এলাকায় বিক্ষোভ করেন।
এর আগে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ওই ইউনিয়নের মাঝের চর নামক স্থান এমভি আল-বাখেরা জাহাজ থেকে নিহতদের মরদেহ ও আহতদের উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ।