
গাজায় চলমান মানবিক সংকট ও ইসরায়েলি নিপীড়নের বাস্তবতা তুলে ধরতে কুমিল্লা দাওয়াহ সার্কেলের উদ্যোগে একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রদর্শনী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বাদ জুমা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত টাউন হল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে ছিল প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, আলোচনাসভা, কুইজ প্রতিযোগিতা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম।
আয়োজনে “আল কুদসের মুক্তি কোন পথে” শীর্ষক বিশেষ আলোচনা করেন মুহতারাম আসিফ আদনান হাফিজাহুল্লাহ। তিনি মুসলিম বিশ্বকে আল আকসার মুক্তিতে বাস্তবধর্মী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান এবং করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।
প্রদর্শনীর অন্যতম আকর্ষণ ছিল ফিলিস্তিন বিষয়ক একাত্মতা প্রকাশে অংশগ্রহণকারীদের নিজস্ব অনুভূতি ও প্রতিজ্ঞা ছোট চিরকুটে লিখে দেয়ালে টাঙানো। এতে দর্শনার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন এবং আল আকসা নিয়ে নিজেদের আবেগ, মনের কথা ও প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেন।
এর মাধ্যমে সবাই আল আক্বসা নিয়ে নিজের মনের অভিব্যক্তি আন্তরিকভাবে লিখেছে। এর মাধ্যমে সবাই নতুন করে আল আক্বসা নিয়ে নিজের চিন্তা ভাবনা করার সুযোগ পেয়েছে৷
আয়োজনে আরো ছিল ইজরাইলি পণ্যসমূহ কার্যকরভাবে বয়কট করার সম্পর্কে দিকনির্দেশনা। আগত সকল দর্শক শ্রোতাকে দেয়া হয়েছে বয়কট এ উৎসাহমূলক সচেতনতা লিফলেট৷
এছাড়াও, ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের গুরুত্ব নিয়ে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
প্রায় ৮০০ এর বেশি মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ছাড়াও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ—চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শ্রমিক, রিকশাচালকসহ সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষজনও উপস্থিত ছিলেন। ডকুমেন্টারি ও আলোচনা তারা গভীর মনোযোগে উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠান শেষে একটি টানটান উত্তেজনাপূর্ণ কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে ৮ জন বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হয়।
সব মিলিয়ে ফিলিস্তিন ও আল আকসার সত্যিকারের চেতনা সকল বয়সের মানুষের কাছে জাগ্রত করার জন্য এ আয়োজন ছিল অনন্য ও মাইলফলকের মতো। উপস্থিত আগতরা বলেছেন- এমন আয়োজন আরো বেশি বেশি আয়োজন করা উচিত৷