স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, এবারের গণঅভ্যুত্থানের বিশেষত্ব হচ্ছে, গ্রামেও গণজোয়ার এসেছে। এর ফলস্বরূপ ইউনিয়ন পর্যায়ের মেম্বাররাও পলাতক। কারণ তাদের নির্যাতনের কারণে গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। এই মানুষদের সামনে দাঁড়ানোর সাহস তাদের নেই।
তিনি বলেন, ১৬ বছরের নির্যাতন-অত্যাচারের পর যখন দরজা খুলে যায়, গণজোয়ার আসে তখন অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। তবে সে রকম কিছু ঘটেনি, আল্লাহর রহমত।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তোপখানা রোডের বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ভবন অডিটরিয়ামে ‘বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড প্রদান ও ক্র্যাব নাইট-২০২৪’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এএফ হাসান আরিফ বলেন, আমার প্রত্যাশা সাগর-রুনি হত্যার বিচার এবার আমরা পাব। যে বাধা ছিল, আমার বিশ্বাস সেই বাধা দূর হয়ে গেছে। আপনারা (সাংবাদিকরা) যদি সোচ্চার হন আমরা সাগর-রুনি হত্যার বিচার পাব। যেমন বিগত ১৭ বছরে যে নির্যাতন ও অপরাধ হয়েছে সেই অপরাধীদের বিচারও আমরা দেখতে পারব। আপনাদের (সাংবাদিক) ক্যামেরা, লেখনীর মাধ্যমে সব নির্যাতনের কথা উঠে আসবে।
তিনি বলেন, বিদেশী বিনিয়োগকারীরা দেশে এসে প্রথমেই জানতে চান আমাদের ক্রাইম রেট কেমন। একসময় হংকং বা দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রাইম রেট অনেক বেশি ছিল। কিন্তু এখন সেখানে ক্রাইম রেট একেবারে শূন্যের কাছাকাছি। এসব অঞ্চলে বৈদেশিক বিনিয়োগের হারও এখন বেশি। বাংলাদেশের ক্রাইম রেটও জিরোতে নিয়ে আসতে হবে। একটি বিনিয়োগ বান্ধব রাষ্ট্র বিনির্মানে ক্র্যাবের সকল সদস্য সরকারকে সহায়তা করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, আগে গণঅভ্যুত্থান ও বিপ্লব হতো ঢাকা কেন্দ্রিক। কিন্তু এবারের গণঅভ্যুত্থানে প্রকৃত অর্থে গণজোয়ার। শুধু ঢাকা শহর নয় মাঠে-ঘাটে এবং গ্রাম অঞ্চলেও গণজোয়ার এসেছে। অনেকে মনে করেন গণঅভ্যুত্থানের বিপ্লব ফুরিয়ে গেল না তো। আমি বলতে চাই, বিপ্লব এখনো ফুরিয়ে যায়নি। মানুষ সংস্কার চায়, সেগুলো চলতে থাকবে।
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন(ক্র্যাব) এর সভাপতি কামরুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাইনুল হাসান, র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মুনিম ফেরদৌস ও আম্বার গ্রুপের সত্ত্বাধিকারী শওকত আজিজ রাসেল প্রমুখ।