মঙ্গলবার ৫ আগস্ট, ২০২৫

কুমিল্লা-৯ আসন পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

কুমিল্লা-৯ আসন পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
কুমিল্লা-৯ আসন পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান/ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা-৯ সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে কুমিল্লা জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের সামনে আজ সোমবার (৪ আগস্ট) মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা, নবগঠিত লালমাই উপজেলা এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের দক্ষিণাঞ্চলের ৯টি ওয়ার্ড (ওয়ার্ড নং ১৯–২৭)-এর বিপুল সংখ্যক বাসিন্দা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কুমিল্লা-৯ (সাবেক ২৫৬ নম্বর) সংসদীয় আসনটি দীর্ঘদিন ধরে একটি ঐতিহাসিক ও প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।

১৯৮৩ সালে গঠিত এই নির্বাচনী এলাকা লাকসাম উপজেলার চারটি ইউনিয়ন এবং আদর্শ সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয়। ১৯৮৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীরা এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

দীর্ঘদিন একই কাঠামোয় নির্বাচনী এলাকা থাকায় এলাকায় সুষম উন্নয়ন, সামাজিক ঐক্য এবং প্রশাসনিক সুসংহত কাঠামো গড়ে ওঠে।

বক্তারা আরও বলেন, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা ও পৌরসভা গঠনের পর অঞ্চলটি শিক্ষা, শিল্প, বিদ্যুৎ, কৃষি ও যোগাযোগ অবকাঠামোর দিক থেকে দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়েছে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ইপিজেড, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ক্যাডেট কলেজ, বার্ড, পল্লী বিদ্যুৎ, সড়ক ও জনপথ অফিস, মৎস্য অফিসসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ও প্রতিষ্ঠান এখানে অবস্থিত। এ কারণে এলাকাটি এখন একটি স্যাটেলাইট শহর হিসেবে পরিণত হয়েছে।

তারা জানান, বর্তমানে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১৯-২৭ নম্বর ওয়ার্ডের অধিবাসীদের প্রায় সব প্রশাসনিক সেবা সদর দক্ষিণ উপজেলা থেকে নিতে হয়। ফলে এই এলাকাকে ভেঙে তিনটি ভিন্ন সংসদীয় আসনে ভাগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক এবং জনগণের প্রশাসনিক ভোগান্তি বাড়াবে।

বক্তারা সাবেক ২৫৬-কুমিল্লা-৯ আসনটি পূর্বের মতোই পুনর্বহাল করে, দুমিয়া ওয়ার্ড এবং নবগঠিত লালমাই উপজেলাকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি স্বতন্ত্র সংসদীয় আসন ঘোষণার দাবি জানান। এ সময় তারা ২০০১ সালের মতো আবারও কুমিল্লা জেলায় ১২টি সংসদীয় আসন পুনর্বহালেরও আহ্বান জানান।

মানববন্ধন শেষে প্রতিনিধিদল কুমিল্লা জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মোঃ শামিনুল ইসলাম এবং কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়সারের কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করেন।

আরও পড়ুন