মঙ্গলবার ২ ডিসেম্বর, ২০২৫

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসআইয়ের গবেষণা বিষয়ক সেমিনার

কুবি প্রতিনিধি

Rising Cumilla - Comilla University TSI research seminar
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসআইয়ের গবেষণা বিষয়ক সেমিনার/ছবি: প্রতিনিধি

“থাউজেন্ডস স্কলার্স ইনিশিয়েটিভ (টিএসআই), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়” এর উদ্যোগে এবং কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সোসাইটির সহযোগিতায় “Fundamentals of Research: An Essential Introduction” বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় বিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স রুমে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

এ সেমিনারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন, বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. নাইম আলিমুল হায়দার এবং টিএসআই এর প্রধান উপদেষ্টা ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস।

আয়োজকরা বলেন, ‘গবেষণার ভিত্তি নিয়ে আয়োজিত এই সেমিনারের মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের গবেষণার মৌলিক ধারণা, গবেষণা সমস্যা নির্ধারণ, গবেষণা নকশা, তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের প্রাথমিক কৌশল সম্পর্কে ধারণা দেওয়া এবং নতুন গবেষকদের গবেষণায় আগ্রহী করে তোলা।’ এছাড়াও বক্তারা গবেষণার বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতা, উদ্দেশ্য, নৈতিকতা, প্রকারভেদ ও প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উৎসাহিত করেন।

আয়োজকরা আরও জানান, সফলভাবে এই সেমিনার আয়োজন করতে পেরে তারা আনন্দিত। তারা আশা প্রকাশ করেন, এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের গবেষণার মৌলিক ভিত্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে এবং গবেষণায় উৎসাহ বৃদ্ধি করবে।

সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন, “গবেষণার সংস্কৃতি না থাকায় আমরা পিছিয়ে আছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা কার্যক্রম হলেও গবেষণায় অংশগ্রহণ কাঙ্ক্ষিত নয়। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সক্রিয়ভাবে গবেষণায় যুক্ত হওয়া জরুরি।”

টিএসআই এর প্রধান উপদেষ্টা ড. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, “ক্যারিয়ারমুখী উন্নয়নের জন্য এটি অত্যন্ত ইতিবাচক উদ্যোগ। আমরা গবেষণা উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছি, কিভাবে গবেষণা শুরু করতে হয়, কিভাবে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হয় এবং কীভাবে একাডেমিক ও পেশাগত উন্নয়ন গড়ে তোলা যায়, তা শিক্ষার্থীদের শেখানো হচ্ছে।”

ড. মো. নাইম আলিমুল হায়দার বলেন, “বিভিন্ন বিভাগের এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। গবেষণাকে একটি নিয়মিত ধারা হিসেবে গড়ে তোলার এই প্রচেষ্টা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে বড় সুযোগ এনে দেবে এবং শক্তিশালী গবেষণা সংস্কৃতি তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।”

আরও পড়ুন