নভেম্বর ২৪, ২০২৪

রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উদযাপিত

Bangabandhu's birth anniversary and Children's Day celebrated at Cumilla University
কুবি প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) নানা আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে রোববার (১৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, র‌্যালি , দুস্থ ও অসহায়দের জন্য দিন ব্যাপী ফ্রী মেডিকেল সেবা প্রদান , চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরুস্কার বিতরণী, মুজিব একটি জাতির রূপকার চলচ্চিত্র প্রদর্শন এবং বঙ্গবন্ধু লার্নিং হাব উদ্বোধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।

এদিন সকাল ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০ টায় ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের পরীক্ষা কক্ষে শিশু সমাবেশ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ।

উভয় আয়োজনের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন । এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির,কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: আসাদুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা।

পরে দুপুর ১২ টায় প্রশাসনিক ভবনের ৪১১নং কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ এম আবদুল মঈন। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড মো. আসাদুজ্জামান বিশেষ অতিথি ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এসময় ‘ক’ ও ‘খ’ ক্যাটাগরিতে মোট ১৬ জন শিশু শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপাচার্য ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।

চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মেহের নিগার বলেন, আজ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আয়োজন করার প্রধান উদ্দেশ্য শিশুদের উৎসাহ প্রদান করা। শিশুরা যেন দেশ তথা দেশের সার্বিক সমাজ ব্যবস্থাকে চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারেন। এতে শিশুদের মননশীলতার বিকাশ ঘটবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন শিশুদের পছন্দ করতেন। তারই স্মৃতিতে এই আয়োজন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড এএফএম আবদুল মঈন বলেন, বঙ্গবন্ধুর পঞ্চান্ন বছরের মধ্যে আঠারো বছর কেটেছে জেলে। সেই মানুষের নামে কত অপপ্রচার করছিল বাঙালিরা। বাংলার সন্তানরাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর সময় মানুষ ছিল না। আজ আমাদের নেতার জন্মদিনে সবাই সমবেত হয়েছি। বাংলাদেশের সকল কিছুতে বঙ্গবন্ধুর অবদান। জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর, দালালদের এনে নাগরিকত্ব দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু যেমন দেশের জন্য কাজ করে গেছে আমিও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দূর্নীতিবাজরা যদি বারবার অন্যকে দূর্নীতিবাজ বলে তাহলে কী তাদের দূর্নীতি বিষয়টি আড়াল হবে?

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, বাঙালির আড়াই হাজারের বছরের ইতিহাস। তার মধ্যে অনেক নেতা তৈরি হয়েছিল এই বাংলায় কিন্তু কেউ রাষ্ট্র তৈরি করতে পারে নাই। রাষ্ট্র তৈরি করেছে একমাত্র বঙ্গবন্ধু। যার কারণেই তিনি আজ বাংলার গণ মানুষের বন্ধু। বঙ্গবন্ধুর আমলে মানে গুণে বড় অনেক নেতা ছিল কিন্তু তাদের কেউ দেশকে স্বাধীনতার স্বাদ দিতে পারে নাই। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ অবদান রয়েছে।

এ সময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ১৭ ই মার্চ বাঙালি জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। গোপালগঞ্জের সেই ছোট্ট খোকাই দিয়েছে , মাতৃভাষা, দেশ। সেই পরোপকারী খোকাটা দেশের জন্য নিজের সবকিছু বিলিয়ে দিয়েছে। আর খোকা হয়ে গড়ে উঠার পিছনে রয়েছে সেই বাবা-মায়ের অবদান। বাবা-মা সৎ হলে তাদের সন্তান সৎ হবে।

এদিকে বিকাল ৩টায় শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত বঙ্গবন্ধু লার্নিং হাবের উদ্বোধন করেন উপাচার্য। এসময় উপাচার্য বলেন, আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এ লার্নিং হাব শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল। যা তাদের সকল অভাব পূরণ করতে সহায়তা করবে বলে আমি মনে করি।

উপাচার্য আরও বলেন, এখানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের বই ও ল্যাপটপ নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। গ্রুপ এ্যাসাইনমেন্ট ও দলীয় আলোচনার জন্য স্বতন্ত্র কক্ষ ব্যবহার করতে পারবে। লার্নিং হাবে একটি বঙ্গবন্ধু কর্ণারও রয়েছে। পরে বাদ আসর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়ার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।