দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লার ১১টি সংসদীয় আসনে চারটিতে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ও সাতটিতে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণের পর রাত সাড়ে ১০টায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।
এক নজরে কুমিল্লা-১১ সংসদীয় আসনের বিজয়ীরা-
কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ১৩ হাজার ৯০৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার নাঈম হাসান ১৬ হাজার ৫৮০ ভোট পান।
কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে বিজয়ী নৌকার অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ। রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী টিপু মুনশি ৪৬ হাজার ৪৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৩১ ভোট। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র এ কথা জানিয়েছন।
কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে বিজয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সরকার। তিনি পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৯৭১ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী এই আসনের দুই বারের সাংসদ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭২ হাজার ১৪ ভোট।
কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী পদত্যাগকৃত দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঈগল প্রতীকের আবুল কালাম আজাদ। তিনি পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৮০৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী রাজী মোহাম্মদ ফখরুল পেয়েছেন ৮১ হাজার ২৫০ ভোট।
কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেটলি প্রতীকের আবু জাহের নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পান ৬৫ হাজার ৮১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন স্বপন পেয়েছেন ৬১ হাজার ৫২২ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনে এক লাখ ৩২ হাজার ২১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের আঞ্জুম সুলতানা সীমা পান ৪৪ হাজার ৯৬৬ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এক লাখ ৭৩ হাজার ৬৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের মুনতাকিম আশরাফ টিটু পান ১১ হাজার ৬৬৮ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসনে দুই লাখ ৭২৭ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু জাফর মোহাম্মদ শামিম বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির এইচ এম ইরফান পেয়েছেন তিন হাজার ৭২১ ভোট।
কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে পঞ্চমবার জয় পেলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৬ ভোট পেয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আবু বকর ছিদ্দিক চেয়ার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮২৬০ ভোট এবং জাতীয় পার্টির মো. গোলাম মোস্তফা কামাল লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬১৫৯ ভোট।
কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ, লালমাই, নাঙ্গলকোট) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২ লাখ ৩২ হাজার ৬৯৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির জোনাকী মুন্সী আট হাজার ৫৪৮ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে এক লাখ ৮১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফুলকপি প্রতীকে ২২হাজার ৭০০ ভোট পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লার ১ হাজার ৪৩৫টি ভোটকেন্দ্রের ৯ হাজার ৩৮৮টি কক্ষে ভোট গ্রহণ হয়েছে। এতে ১ হাজার ৪৩৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৯ হাজার ৩০০ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ১৮ হাজার ৬০০ জন পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছেন। ভোটার সংখ্যা ৪৬ লাখ ৬ হাজার ১৯৬। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩ লাখ ৬৬ হাজার ২৬৪ জন ও নারী ভোটার ২২ লাখ ৩৯ হাজার ৯০৬ জন।