নভেম্বর ২৭, ২০২৪

বুধবার ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

কুমিল্লার সাবেক সিনিয়র জেল সুপার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ACC case against Cumilla's former senior jail superintendent and his wife
কুমিল্লার সাবেক সিনিয়র জেল সুপার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার সাবেক সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ ও তার স্ত্রী খন্দ. নুরুন নাহার লোটাসের বিরুদ্ধে আড়াই কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) মামলাটি দায়ের করেন দুদক কুমিল্লার সহকারি পরিচালক পাপন কুমার সাহা।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, শাহজাহান আহমেদ ১৯৮৭ সালে বস্ত্র অধিদপ্তরে ড্রাফটসম্যান পদে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৯১ সালে ডেপুটি জেলার পদে আত্তীকৃত হন এবং বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার পদে চলতি দায়িত্বে কর্মরত আছেন। তিনি ১৯৯২ সালের ২০ জুন খন্দকার নুরুন নাহার লোটাসকে বিয়ে করেন। তিনি পেশায় গৃহিণী।

মামলায় আরো বলা হয়, দুদকের অনুসন্ধানে শাহজাহান আহমেদের নিজ নামে স্থাবর-অস্থাবরসহ ১ কোটি ৩০ লাখ ১৯ হাজার ২৬৩ টাকার সম্পদের মালিকানা পাওয়া যায়। উক্ত সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার মোট আয় পাওয়া যায় ৫৮ লাখ ১০ হাজার ৪১ টাকা। অর্থাৎ ৭২ লাখ ৯ হাজার ২২২ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে অনুসন্ধানে নুরুন নাহার লোটাসের নামে অর্জিত ১ কোটি ৪৮ লাখ ৯৮ হাজার ৭৩ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। দুদকের কাছে প্রথম দিকে ব্যবসার কথা উল্লেখ করা হলেও ব্যবসার কোনো কাগজপত্র প্রদর্শন করতে পারেননি।

দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন তিনি ব্যবসা থেকে কোনো উপার্জন করেননি। অর্থাৎ ওই সব সম্পদ স্বামীর দুর্নীতির টাকায় অর্জন করেছেন।

বুধবার সন্ধ্যায় জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ মোবাইল ফোনে বলেন, মামলার অভিযোগ সঠিক নয়। যেহেতু মামলা হয়েছে, তাই এসব অভিযোগ আইনীভাবেই মোকাবেলা করবো।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফজলুর রহমান বলেন, ২ কোটি ২১ লাখ ৭ হাজার ২৯৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহিভর্‚ত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শাহজাহান আহমেদ ও তার স্ত্রী নুরুন নাহার লোটাসের বিরুদ্ধে দুদক আইন-২০০৪ এর ২৭ (১) এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

এছাড়াও তদন্তকালে তাদের আরও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেলে তা মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।