নোয়াখালীতে পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাওয়ার পথে কুমিল্লার লাকসামে উত্তর জেলা বিএনপির নেতা–কর্মীদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক নেতাকর্মী।
আহতদের অধিকাংশ কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির নেতাকর্মী। হামলার সময় বাইপাস এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
কুমিল্লা তিতাস উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ওসমান গনি ভুইয়া বলেন, আমরা নোয়াখালীতে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাত্রা করি। লাকসাম বাইপাস অতিক্রম করার সময় জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে দুবৃর্ত্তরা আমাদের গাড়ি বহরে হামলা করে। এ সময় রাম দা দিয়ে কুপিয়ে ১০-১৫টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আহত হন ২০-৩০জন নেতাকর্মী।
হামলায় ৩০-৩৫টি মাইক্রোবাস ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির নেতারা।
আহতরা হলেন মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মুজিবুল হক, কৃষক দলের মো. নায়েব আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নাছির আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. ফারুক আহমেদ বাদশা, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বশিরুল ইসলাম মোল্লা, কুমিল্লা উত্তর জেলা কৃষক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসাধারণ সম্পাদক হেদায়েত হোসেন, কবির হোসেন, নবীপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন ও সালাউদ্দিন আহমেদ।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে আহত মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মজিবুল হক বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা ব্যাহত করতে এ হামলা চালানো হয়েছে। অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ‘গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাটি শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’