বৃহস্পতিবার ২৩ অক্টোবর, ২০২৫

কুমিল্লার মেঘনায় যুব অধিকার পরিষদের দুই নেতা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লার মেঘনায় যুব অধিকার পরিষদের দুই নেতা গ্রেপ্তার/ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মেঘনায় যুব অধিকার পরিষদের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

নৌ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মেঘনার চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম মা ইলিশ সংরক্ষণে অভিযান চালায়। এই অভিযানে মইষ্যার চর এলাকা থেকে রবিউল্লাহ, জাকির হোসেনসহ চারজন জেলেকে দুটি নৌকা ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল সহ জব্দ করা হয়।

এ সময় আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটে। এই অভিযোগে যুব অধিকার পরিষদের নেতা সাঈদ খোকন ও সগীর হোসেন সহ ছয়জনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আজমগীর হোসেনের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘গ্রেপ্তার হওয়ারা জেলেদের জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিতে স্থানীয় চাঁদাবাজ আলামিনের নেতৃত্বে খোকন, সগীরসহ ৮-১০ জন সন্ত্রাসী দুটি ট্রলার নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এএসআই মইন উদ্দিন ও কনস্টেবল আলমের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আহতদের মেঘনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও জানান যে, এই ঘটনায় মেঘনা থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে, স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

তবে এই বিষয়ে যুব অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। গণঅধিকার পরিষদের মেঘনা উপজেলা শাখার সভাপতি মোখলেসুর রহমান দাবি করেন, ‘আমাদের কোনো নেতাকর্মী অনৈতিক কাজে জড়িত নয়। চারজন সাধারণ জেলেকে গ্রেপ্তারের খবর শুনে আমাদের দুই নেতা খোকন ও সগীর মানবিক কারণে সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাদের কথা না শুনেই গ্রেপ্তার করে।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘খোকন ও সগীর অবৈধ বালু ব্যবসার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন, আর এজন্যই নৌ পুলিশ ইনচার্জ আজমগীর এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন।’

আরও পড়ুন