কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় বিদ্যালয়ের দোলনায় চড়তে যেয়ে বৈদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নুসাইফা নামের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল বুধবার (৮নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের উপজেলা পরিষদ স্কুলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নুসাইফা (৯) উপজেলা পরিষদ স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর গোলাপ শাখার ছাত্রী ছিল। তার বাবা এলজিইডি অফিসের কার্য-সহকারী মো. সহিদুল ইসলাম, স্বপরিবারে উপজেলা পরিষদ কোয়াটারে থাকতেন তারা। তার গ্রামের বাড়ি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পাশার কোট গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, ক্লাস শুরুর আগে তিন শিশু দোলনায় খেলছিল। সকাল সাড়ে ১০টায় পিটি ক্লাস শুরু হলে দুই শিক্ষার্থী চলে আসে এবং নুসাইফা দোলনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।
এ সময় বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক নিজামুল হক মুন্সী ও ওমর ফারুক তাকে দোলনা থেকে নামাতে গিয়ে শিক্ষক নিজামুল বিদ্যুতের শক খান। পরে বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করে নুসাইফাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল আমিনের দাবি, বিদ্যুৎস্পর্শে নুসাইবার মৃত্যুর কথা সঠিক নয়; বরং গলায় দোলনার শিকল পেঁচিয়ে যাওয়ায় তার মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনার সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা, এএসপি সার্কেল শাহ মোহাম্মদ তারিকুজ্জামান, অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর, বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম ও শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি নিগার সুলতানা বলেন, দোলনায় চড়তে গিয়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, নুসাইবার মৃত্যুর খবরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তিনি। একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।