
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একটি ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষে দুইজন পুরুষ ও একজন নারীসহ মোট তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও, দুর্ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের ফেলনা কাজী বাড়ির ইউটার্নের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হিলাল উদ্দিন আহাম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় লাকসাম থেকে চৌদ্দগ্রামের দিকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের ফেলনা কাজী বাড়ির সামনে ইউটার্নে বিপরীত দিক থেকে আসা চৌদ্দগ্রাম থেকে নাঙ্গলকোটগামী একটি সিএনজি এবং একটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে ট্রাকের নিচে চলে যায়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রা এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। ঘটনাস্থলেই সিএনজির যাত্রী তিনজন নিহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। মৃত ব্যক্তিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মো. হিলাল উদ্দিন আহাম্মেদ।
এ ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- নাঙ্গলকোট উপজেলার মহিশ্বর গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে আবু তৈয়ব (২৬), একই উপজেলার বাঙ্গড্ডার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে আব্দুর রহিম (২৭), আলী হোসেনের ছেলে অটোচালক মাহবুবুল হক, আবুল কালামের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৪২)।
এছাড়া আহতদের মধ্যে আব্দুর রহিম, আনোয়ারা বেগম, আবু তৈয়বসহ অজ্ঞাতনামা আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হিলাল উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যায়। ট্রাক, সিএনজি ও অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছেন। মৃত ব্যক্তিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।










