অক্টোবর ৩১, ২০২৪

বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর, ২০২৪

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে খাবার হোটেলের আড়ালে মাদক বিক্রি করতেন তারা

Rising Cumilla - They used to sell drugs under the cover of a food hotel in Chouddagram of Cumilla
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার অংশের চৌদ্দগ্রাম জগমোহনপুর এলাকায় খাবার হোটেলের আড়ালে মাদক বিক্রির ঘটনায় ৭ জনকে আটক করেছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে র‌্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার উপপরিচালক লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

আটককৃতরা হলেন- জগমোহনপুর গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা, ঘোষতল গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবদুল খালেক, বদরপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে জাকির হোসেন, নারায়নপুর গ্রামের ছায়েদ মিয়ার ছেলে পারভেজ, কেছকিমুড়া গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের নূর নবী, বরুড়া উপজেলার দেওড়া গ্রামের আবদুস ছাত্তারের ছেলে শরীফ হোসেন ও ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইল থানার তেরকান্দা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মোজাহিদুল ইসলাম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, র‌্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানির অধিনায়ক লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন জগমোহনপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন খাবার হোটেলে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ১ কেজি গাঁজা ও ১৫ পিস ইয়াবাসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গ্রেপ্তাররা হলেন- চৌদ্দগ্রাম থানার জগমোহনপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন, বুশতল গ্রামের আব্দুল খালেক, ২ নং বদরপুর গ্রামের জাকির হোসেন, কেছকী মোড়া গ্রামের মো. নূর নবী, বরুড়া থানার দেওড়া গ্রামের শরীফ হোসেন ও সরাইল থানার তেরকান্দা গ্রামের মো. মোজাহিদুল ইসলাম।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী খাবারের হোটেলগুলোতে ট্রাক ড্রাইভার ও হেল্পারদের নিকট মাদক বিক্রয় করে আসছিলেন তারা। এছাড়াও কিছু হোটেলের মালিক/ম্যানেজারগণ এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। ট্রাকের চালকরা খাবার খাওয়া এবং বিশ্রামের জন্য উক্ত খাবার হোটেলগুলোতে বিরতি নিয়ে থাকেন। বিরতিকালে ড্রাইভার এবং হেলপাররা হোটেলগুলো থেকে মাদকদ্রব্য ক্রয় করেন এবং সেবন করেন। পরে তারা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাতে মহাসড়কে গাড়ি চালান। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনার হার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রয়কালে মাদকসহ আসামিদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে র‌্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানীর অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বলেন, মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র‌্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।