কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় ‘ভুয়া চিকিৎসক’ খলিলুর রহমান পলাশকে তিন মাসের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া বিভিন্ন অসংগতি থাকায় ওই ব্যক্তির মালিকানাধীন হাসপাতালসহ আরও তিনটি হাসপাতাল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার জোয়াগ ইউনিয়নের কৈলাইন পুরাতন বাজার সংলগ্ন লক্ষ্মীপুর মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালটি পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাবের মো. সোয়াইব।
উপজেলা প্রশাসন থেকে জানা যায়, খলিলুর রহমান পলাশ কোনো ডাক্তারি ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও ‘ডাক্তার’ পদবী ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে রোগী দেখছিলেন।
এছাড়াও, মেয়াদোত্তীর্ণ ও সরকারি ওষুধ বিক্রি, সেবাগ্রহীতার জীবন বিপন্নকারী কাজ, টেকনিশিয়ান ছাড়া যন্ত্রাংশ চালানো, ফ্রিজে মেডিক্যাল রিএজেন্টের সাথে খাবার রাখা, বাসায় চেম্বার ও রোগীদের বেড, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় লক্ষ্মীপুর মেডিক্যাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এদিকে একই অভিযানে মাধাইয়া জেনারেল হাসপাতাল, লক্ষ্মীপুর নতুন বাজারের জি এম মেডিক্যাল সেন্টার, বদরপুর পশ্চিম বাজারের জয় মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার কারণে সিলগালা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাবের মো. সোয়াইব বলেন, বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ। উপজেলা প্রশাসনকে জানালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
অভিযানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আরিফুর রহমান, জুনিয়র কনসালটেন্ট মোস্তফা মনোয়ার কৌশিকসহ চান্দিনা থানা পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।