কুমিল্লার চান্দিনায় বিয়ে না করায় স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করেন গৃহবধূ ফাতেমা আকতার (২৮)। এ ঘটনায় ফাতেমা ও তাঁর স্বামী শুক্কুর আলীকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সুনামগঞ্জের ছাতক থানার গাবুরগাঁও গ্রামের শুক্কুর আলী (৩০) ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৮)।
নিহত আরিফ হোসেন (৩০) সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সাতগাঁও এলাকার আলাই মিয়ার ছেলে। তিনি কুমিল্লার চান্দিনায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন। সেখানেই তাঁকে হত্যা করা হয়। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, দুই বছর ধরে শুক্কুর আলীর সঙ্গে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন আরিফ হোসেন। সেই সুবাদে শুক্কুর আলীর বাড়িতে আরিফের যাতায়াত ছিল। একপর্যায়ে শুক্কুর আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগমের সঙ্গে আরিফের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাসখানেক আগে আরিফের বাসায় গিয়ে ওঠেন ফাতেমা। কিন্তু আরিফ তাঁকে বিয়ে করবেন না বলে বুঝতে পারেন ফাতেমা।
নাজমুল হাসান বলেন, এ ব্যাপারে ক্ষুব্ধ হয়ে ফাতেমা মনে মনে আরিফকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। গত ৭ আগস্ট স্বামী শুক্কুর আলীকে গোপনে পরকীয়া প্রেমিক আরিফের বাড়িতে ডেকে নেন ফাতেমা। শুক্কুর আলী রাতে ঘরের খাটের নিচে লুকিয়ে ছিলেন। আরিফ ঘুমিয়ে পড়লে গভীর রাতে শুক্কুর আলী ও ফাতেমা মিলে তাঁকে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দী করে পুকুরে ফেলে দেন।
পরে স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য এবং তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের কুমিল্লা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই আসামি জানান, ১০ বছর আগে ফাতেমা বেগম ও শুক্কুর আলীর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে চারটি সন্তান আছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) এনায়েত কবির সোহায়েব, চান্দিনা ওসি মোহাম্মাদ শাহাবুদ্দিন খান।