গত ১৭ বছর আগের মেয়ের জামাতার কাছ থেকে পাওনা টাকা দাবি করে লাশ দাফনে বাধা প্রদান ও পরিবারের লোকজনের উপর হামলা করার খবর পাওয়া গেছে৷ ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই ইউনিয়ন উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংলগ্ন মজিদ খন্দকারের বাড়িতে৷
এলাকাবাসী ও মৃত ব্যাক্তির পরিবার ও থানার লিখিত অভিযোগকারি জানান, আমার বড় ভাই মৃত আবুল কাসেমের স্ত্রী মারা যায় রবিবার রাতে ঢাকায়৷ পরের দিন লাশ দাফনের জন্য উত্তর শিদলাই আমাদের বাড়িতে লাশ পৌছালে ১৭ বছর আগে আমার ভাতিজি জামাইয়ের কাছে টাকা পাওনা বলে উপজেলার দর্পনারায়ন পুর এলাকার পিতা-মৃত বসু মিয়ার ছেলে মোঃ হাবিব মিয়া (৩৫) এবং তার ভাড়া করা মোঃ আবু জাহের (৫৫), পিতা-মৃত আব্দুস সাত্তার, মোঃ বাছির (৩০), পিতা-মোঃ আবু জাহের, মোঃ জয়নাল (৩২), পিতা- মৃত মনু মিয়া, মোঃ কামরুল (২৫), পিতা-মোঃ নসু মিয়া, মোঃ আল আমিন (৩০), পিতা-মোঃ আবুল হাসেম, মোঃ রিপন (৫০), মোঃ খোকন (৪০), উভয় পিতা-রেজু মিয়া, শিদলাই (উত্তরপাড়া, বক্তার গোষ্ঠী)র অজ্ঞাতনামাসহ আরো ৪০/৫০ জন লাশ দাফনে বাধা প্রদান করে৷
এসময় আমাদের বাড়ির মানুষ এবং মৃত ব্যাক্তিকে দাফন করতে আসা তার আত্মিয় স্বজনরা প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়৷ এসময় তারা দেশিয় অস্ত্র, লাঠি সোঠা নিয়ে আমাকে, আমার ভাতিজা মৃত ব্যাক্তির ছেলে মোঃ আবু জায়েদ,আমার নাতী জায়েদের ছেলে বাইজিদ, জায়েদের চাচা, চাচাত ভাই, ভাতিজা এবং আত্মীয়স্বজনদের উপর হামলা করে আহত করে৷
এবিষয়ে জানতে চাইলে শিদলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম আলাউল আকবর বলেন, ঘটনাটি শুনার পরে আমি লাশ দাফনের জন্য বলি এবং লাশ দাফন করা হয়েছে৷ তবে বিষয়টি দুঃজনক৷
এ বিষয়ে মৃত ব্যাক্তির স্বামীর ভাই মোঃ আঃ জব্বার বাদী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷
লাশ দাফনে বাধা দেবার অভিযোগে অভিযুক্ত দর্পনারায়ন পুর এলাকার হাবিবের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে হাবিব জানায়, জায়েদ ভাইয়ের মা আমার টাকার বিষয়টি জানতো৷ তিনি মারা যাওয়ায় আমি তাদের কাছে টাকা চাইতে গিয়েছিলাম৷ এখানে লাশ দাফনে বাধা এবং মারামারির বিষয়টি সত্য নয়৷