কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে উপজেলায় দুই তরুণীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা কাউকে না জানাতে ধর্ষণের ভিডিও করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নারীরা।
গত বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের সেবাখোলা নামক স্থানে খোকনের স’ মিলের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। পরে রবিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে ভুক্তভোগী দুইজন নাঙ্গলকোট থানায় মৌখিক অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী দুইজনের মধ্যে একজনের বয়স ২০ বছর এবং আরেকজনের বয়স ৩৫ বছর।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.কে ফজলুল হক ভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে জানান, তারা দুজন কুমিল্লা শহরের টমসনব্রিজ এলাকায় একসঙ্গে থাকেন। তাদের একজনের বাড়ি চাঁদপুর এবং অন্যজনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়। ২০ বছর বয়সী ওই তরুণীর সঙ্গে নাঙ্গলকোটের শহিদ নামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেম ছিলো। বৃহস্পতিবার তারা শহিদের সঙ্গে দেখা করতে কুমিল্লায় আসেন। এরপর সেখান থেকে তাদেরকে একটি স’মিলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে তারা অভিযোগ করছেন। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ক্ষতিয়ে দেখছি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছি।
ভুক্তভোগী দুই নারী জানান, বৃহস্পতিবার নাঙ্গলকোট যাওয়ার পর বেলা পৌনে ১১টার দিকে আমাদেরকে প্রথমে একটি অটোরিকশায় করে নিয়ে বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরাঘুরি করে। আমরা বুঝতে পারি তাদের উদ্দেশ্য ভালো না। তখন আমাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। তখন কেউ আশেপাশে ছিলো না। পরে ১২টার দিকে আমাদেরকে একটি রুমে নিয়ে গিয়ে ১০/১২ জন দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।
অভিযুক্ত স’মিলের মালিক খোকন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘জোরপূর্বকভাবে আমার স’মিলে দুজন মেয়ে নিয়ে ঢুকে মহসিন। এ সময় তার সঙ্গে আরও ১০-১২ জন ছিলো। এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই।’
এ বিষয়ে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে চৌদ্দগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত তাবাস্সুম সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা মৌখিকভাবে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন, এখন তারা চাইলে মামলা হবে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের ঘটনায় তারা সোমবার থানায় আসলেন। তাদের পরিচয় নিয়েও আমরা সন্দিহান আছি। কারণ তারা দুজন দুই ধরণের কথা বলছে। সব কিছু অনুসন্ধান করেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’