নভেম্বর ২৫, ২০২৪

সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

কুমিল্লায় জমে উঠছে কোরবানির হাট, মাঝারি পশুর চাহিদা বেশি

Cow
চৌয়ারা বাজারে গরু হাতে ধরে দাঁড়িয়ে আছেন বিক্রেতা। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লায় ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানি পশুর হাট। প্রতিবারের মতো এবারও বড় গরুর চেয়ে মাঝারি পশুর চাহিদা বেশি। দাম নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

বুধবার (১২ জুন) কুমিল্লার বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়,  প্রচুর সংখ্যক কোরবানির পশু বিক্রির জন্য বাজারে আনা হয়েছে। ঈদের আরও ৩দিন বাকি থাকলেও পশু বিক্রি হচ্ছে ভালোই।

এদিকে চান্দিনা উপজেলায় ৪টি নির্ধারিত পশুর হাট থাকলেও ঈদ উপলক্ষে ১৭ টি স্থানে অস্থায়ী হাট বসেছে। পশুর হাট ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, নির্বিঘ্ন যাতায়াত, জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিনসহ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

বাজার ইজারাদার হাজী মো. শাহাজালাল সরকার এর তথ্যানুসারে জানা গেছে, এবার পশুর দাম মোটামুটি ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। চান্দিনার ছায়কোট বাজারে গরু, ছাগল ও খাশি মিলিয়ে ৬ শতাধিক কোরবানীর পশু বিক্রি হয়েছে।

তিনি আরও জানান, তাদের মূল লক্ষ্য আগামী শনিবার এর বাজার। এই ১টি বাজার ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। ইতোমধ্যে বাজারের ভিতরে প্রবেশের প্রধান সড়কটি নতুন করে মেরামত করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কোরবানির পশুর হাটে গিয়ে ক্রেতারা বলছেন, গতবারের তুলনায় দাম একটু বেশি। হাটে ছোট-বড় সব ধরনের গরুই চোখে পড়ছে।

কোরাবানির পশুর হাটে আসা বিক্রেতারা বলছেন, দাম ঠিক রেখেই বিক্রির চেষ্টা চলছে।

তবে এবার কোরবানির পশুর সরবরাহ বেশি থাকায় দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা গরুকে বিভিন্ন ভাবে সাজিয়ে বাজারে তুললেও দূরের ব্যবসায়ীরা ট্রাক যোগে প্রচুর সংখ্যক গরু বাজারে তুলেছেন। বাজারে বিভিন্ন আকারের গরু, খাসি উঠেছে।

এ বিষয়ে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ ও বাজার কমিটির স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে পৃথক টিম গঠন করা হয়েছে। স্থায়ী বাজারগুলোতে জালনোট শনাক্ত করণ মেশিন বসানো হয়েছে। নির্বিঘেœ ক্রয়-বিক্রয় করার যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন- কুমিল্লার যেসব স্থানে বসছে কোরবানির পশুর হাট

উল্লেখ্য, চলতি বছর কুমিল্লায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৪১ হাজার ৬৪টি। এর বিপরীতে পশুর মজুত রয়েছে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫২টি। সে হিসেবে কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকবে ৮ হাজারের বেশি পশু। কুমিল্লার ১৮টি থানা এলাকায় এই বছর স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে সর্বমোট ৪০৯টি পশুর হাট বসবে।