
কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদকসহ মো. রিয়াদ হোসেন (২৯) ও তার সহযোগী মো. মামুন মিয়াকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি ও মাদক জব্দ করা হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি বিশেষ আভিযানিক দল উপজেলার ভাটকেশ্বর এলাকায় অভিযান চালায়। এই অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও চিহ্নিত মাদক কারবারি মো. রিয়াদ হোসেন এবং তার সহযোগী মো. মামুন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই রাতে পরিচালিত পৃথক আরেকটি অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের পরিচয় নিশ্চিত করে র্যাব জানায়, রিয়াদ হোসেন ভাটকেশ্বর গ্রামের মো. জসিমের ছেলে এবং মামুন মিয়া কার্তিকপুর গ্রামের মৃত মঞ্জিল মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে র্যাব আরও জানায়, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে অবৈধ অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে আসছিল। পরে তারা জেলার বিভিন্ন স্থানে পাইকারি ও খুচরা দরে এসব বিক্রি করত। অস্ত্র ব্যবহার করে তারা চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের ওপর হামলাসহ নানা অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত রিয়াদ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মোট ২৫টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজি, ডাকাতি এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম বলেন, “অস্ত্র ও মাদকবিরোধী চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে র্যাব-১১ নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করছে। সমাজে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা দমনে র্যাবের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”