কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের কার্যালয় হলো টেরোরিস্ট ট্রেনিং সেন্টার এবং ওনার বাংলো সাব সেন্টার বলে মন্তব্য করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে বারোটায় সাবেক শিক্ষার্থী, চাকরি প্রার্থী ও বিভিন্ন মামলার আসামি কর্তৃক শিক্ষকদের উপর হামলার পর তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, উপাচার্য তার অপকর্ম ঢাকার জন্য সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে চাকরির প্রলোভনে নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছেন। আজকে উপাচার্য কার্যালয়ে প্রবেশের সময় এই সন্ত্রাসী বাহিনী শিক্ষকদের উপর হামলা করে। এই সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে উপাচার্য গতকাল রাত ১ টায় তার বাংলোতে মিটিং করেছেন।
ঐ মিটিংয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আজকে তারা শিক্ষকদের উপর হামলা করা হয়৷ এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি একই সন্ত্রাসী বাহিনী শিক্ষকদের উপর হামলা চালায়। এছাড়া আমরা যতবারই দাবি দিয়ে উপাচার্য স্যারের সাথে আলোচনা করতে গেছি ততবারই এই সন্ত্রাসী বাহিনীর কার্যক্রম লক্ষ্য করেছি। ঐদিনের হামলার পরও উপাচার্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। যার পরিপ্রেক্ষিতে আজকে আবারো শিক্ষকদের উপর হামলা করেছে তারা।
জানা যায়, শিক্ষকদের ৭ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছিলেন তারা৷ দাবি আদায় না হওয়ায় তাদের কর্মসূচি অনুযায়ী উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে কার্যালয়ে তালা দেন শিক্ষকরা।
পরবর্তীতে আজকে (২৮ এপ্রিল) উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কয়েকজন শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীদের প্রটোকলে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে এলে কয়েকজন শিক্ষক বাঁধা দিলে শিক্ষকদের উপর হামলা করে সাবেক শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীরা৷
এসময় উপাচার্য ড. মঈন মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানকে ধাক্কা দিয়ে প্রবেশ করে। চাকরি প্রার্থী বিপ্লব চন্দ্র দাশ অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামিমুল ইসলামকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়৷
সাবেক শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীরা হলন, ইমরান হোসেন, অনুপম দাশ বাঁধন, রকিবুল ইসলাম রকি, মেহেদী হাসান, মুশফিকুর রহমান খান, ইমাম হোসেন মাসুম, আমিনুর রহমান বিশ্বাস, রেজা-ই এলাহী, পার্থ সরকার, ইকবাল হোসেন খান, মাসুদ রানা, বাপ্পি, রাকিব হোসাইন, দ্বীপ চৌধুরী, আমরান হোসেন, ইমরুল কায়েস আবিরসহ আরোও ১০/১৫ জন।
বারবার যারা শিক্ষকদের উপর হামলা করেছে এরা কারা এমন প্রশ্নে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, কে হামলা করেছে আমি তাদের চিনি না।
বারবার শিক্ষকদের উপর বহিরাগতরা হামলা করার পরও কোনো ব্যবস্থা নিবেন কিনা এমন প্রশ্নে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী রানা বলেন, এবিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। উপাচার্য স্যার সংবাদ সম্মেলনে এগুলো বলেছেন।