মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাইভেটকার খাদে পড়ে একই পরিবারের তিনজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার (৩ মে) রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উপজেলার বাউশিয়া এলাকার মানাবে ওয়াটার পার্কের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কাদরা গ্রামের হোসেন আলী বেপারীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৫০), তার ছোট ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩০) ও তার মামী রাহেলা বেগম (৫০)।
আহতরা হলেন- আলমগীর হোসেনের বড় ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫) ও প্রাইভেটকার চালক ইব্রাহিম খলিল সুজন (৩২)।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকার ডেমরা এলাকার বাসিন্দা কুয়েত প্রবাসী আলমগীর হোসেন সম্প্রতি দেশে ফিরে শুক্রবার পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় কাদরা গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বেড়ানো শেষ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় তার মামি রাহেলা বেগমকে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে ঢাকাতে নিয়ে আসছিলেন তিনি।
পথিমধ্যে রাত দেড়টার দিকে তাদের প্রাইভেটকারটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া মানাবে ওয়াটার পার্কের সামনে এলে পেছন থেকে একটি কাভার্ডভ্যান প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারটি রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এ সময়ে আলমগীর হোসেনসহ ঘটনস্থলেই মারা যান তিনজন। চালকসহ আহত দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা।
গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির বলেন, গত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া মানাবে ওয়াটার পার্কের সামনে প্রাইভেটকারটিকে পেছন থেকে একটি কাভার্ডভ্যান ধাক্কা দেয়। এ সময় কারটি রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। আলমগীর হোসেনসহ ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। চালকসহ আহত দুইজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
তিনি আরো বলেন, মরদেহগুলো বর্তমানে পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে। ঘাতক কাভার্ডভ্যানটি শনাক্তের চেষ্টা চালছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।