হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার পর সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। তবে বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ ভালো হলেও দাম আগের মতোই রয়েছে।। সেই সঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দাম।
শুক্রবার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের কেজি ৫-১০ টাকা কমে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেশিরভাগ সবজির দামই ৩০ থেকে ৮০ টাকা কেজির মধ্যে রয়েছে।
এছাড়া চিনি, ডিম ও মাছ-মাংস আগের মূল্যেই রয়েছে। কোরবানির ঈদ আসন্ন হওয়ায় পেঁয়াজের দাম সামান্য কমায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ফিরেছে স্বস্তি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সামনের দিনগুলোতে পেঁয়াজের দাম আরো কমবে।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে রাজগঞ্জ, রানীর বাজার, বাদশা মিয়া বাজার, চকবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ক্রেতারা বলছেন, বাজারে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব কিছুটা হলেও কমতে শুরু করেছে। বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম কমেছে। অন্যান্য পণ্যের দাম না কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাদশা মিয়া বাজার, চকবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের দাম প্রতি কেজি ১২০০ টাকা। বকরির মাংস ৯৫০ টাকা।
বাদশা মিয়া বাজার এর এক ব্যবসায়ী বলেন, দাম বৃদ্ধি দেখে অনেকে বাড়তি পেঁয়াজ কিনেছেন। এতে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম আরও বেড়ে যায়। তবে এখন চাহিদা কমেছে। আবার দেশি পেঁয়াজের সরবরাহও বেড়েছে। এ কারণে দাম কমেছে।
অপরদিকে, মুদি বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল ২০০ টাকা এবং চিনি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আমদানি করা চীনা রসুন ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে গ্রীষ্ম মৌসুমের সবজির সরবরাহ ভালো। প্রতিকেজি বেগুন, করলা, বরবটি, ঝিঙা, পটল সহ বেশ কয়েকটি সবজির দাম ৩০ থেকে ৬০ টাকা দরে বা তারও নিচে বিক্রি হচ্ছে।