নভেম্বর ২৫, ২০২৪

সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

এবারের ছুটিটা কুমিল্লার যেসব জায়গায় ঘুরে কাটাতে পারেন

Dharmasagar, Cumilla
ধর্মসাগর পাড়, কুমিল্লা | ছবি: রাইজিং কুমিল্লা/শাদমান আল আরবী

ঈদের লম্বা ছুটিতে প্রায় অনেকেই নাড়ির টানে বাড়ি এসেছেন। যাদের এবার কুমিল্লাতে ঈদ কাটছে, চাইলে তারাও পারেন ঈদের ছুটিটা কুমিল্লার আশেপাশে কোথাও কাটিয়ে দিতে। দিনে গিয়ে দিনে ঘুরে আসা কিংবা ২-৩ দিন কাটানোর মতো কোনো স্থান থেকে ঘুরে আসতে পারেন। পরিবার-বন্ধুদের সঙ্গে মনোরম প্রকৃতিক পরিবেশে আনন্দময় করে তুলতে পারেন ঈদের ছুটি।

এবার কুমিল্লার আশেপাশে এমন কিছু মনোরম স্থান ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সম্পর্কে জেনে নিন।

ধর্মসাগর পাড়

কুমিল্লা সদরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ধর্মসাগর দীঘি। দীঘির পাড়ে গেলে একটি সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে এর ইতিহাস। ত্রিপুরার রাজা ধর্মমাণিক্য শাসনামলে রাজ্যে ভয়ানক দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। তখন তিনি তার প্রজাদের কষ্ট দূর করতে খনন করেন ধর্মসাগর দীঘিটি। তার নামানুসারেই দীঘিটি প্রসিদ্ধি লাভ করে। দীঘির উত্তরে সবুজে ঘেরা শিশুপার্ক থেকে ধর্মসাগরের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করা যায়।

পর্যটকরা ধর্মসাগরের পাড় ধরে হেঁটে বেড়ান, কেউবা নৌকা নিয়ে ভেসে বেড়ান দীঘির জলে। ছোট ছোট ঢেউ থামছে পাড়ে এসে। হৃদয় ছুঁয়ে যাচ্ছে মৃদুমন্দ বাতাস। উত্তালতা নেই। নেই পানির গর্জন। আছে বিশালতা। সমুদ্রের মতো দিগন্তছোঁয়া না হলেও সেই বিশালতা স্থান-পাত্রভেদে সাগরের মতই পর্যটকদের প্রাণ জুড়াবে।

গোমতী নদীর পাড়

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের কারণে পর্যটকদের কাছে দিন দিন আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়ে উঠছে গোমতী নদীর দুই তীর। ভারতে উৎপত্তি হওয়া এই গোমতী নদী কুমিল্লার সদর উপজেলা, বুড়িচং, দেবীদ্বার, মুরাদনগর, তিতাস ও দাউদকান্দি এই ছয় উপজেলার ওপর দিয়ে মেঘনা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে।

কুমিল্লা অংশে দীর্ঘ ৯৫ কিলোমিটার এ নদীর দুই ধারে বিশাল চর ও পাড়ের প্রকৃতি, চরে সবজির ক্ষেতজুড়ে সবুজের সমারোহ পর্যটকদের কাছে সৌন্দর্য্যের হাতছানি দেয়। নদীর উভয় তীর এখন পিচঢালা রাস্তা। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এসে দেখতে পারেন গোমতী নদীর অপূর্ব সুন্দর।

সম্প্রতি নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তি মালিকানায় গড়ে তোলা হচ্ছে ছোট ছোট কটেজ। এসব কটেজে আছে কফি, চাসহ খাবারের ব্যবস্থা। শেষ বিকেলে নদীর পাড়ে বসে চা পান করতে করতে উপভোগ করা যায় নদীর সুর্য ডুবার নান্দনিক চিত্র।

খরস্রোতা এ নদীর পানির প্রবাহমাত্র ১০০ থেকে ২০,০০০ কিউসেক পর্যন্ত উঠানামা করে। ফলে, নদীর স্রোতের ঘূর্ণিপাকের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে বিকেল হলেই সববয়সী মানুষের ভিড় বাড়ে। নদীর ধারে জেগে থাকা পাথরগুলো যেন সমুদ্র সৈকতের অনন্য অনুভবের অনুরণন এনে দেয়।

কুমিল্লা শহরের টিক্কারচর এলাকায় নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজটিকে ঘিরে প্রতিদিন বিকেলে দর্শনার্থীদের ভিড় জমে। আর ছুটির দিনগুলোতে দূর-দূরান্ত থেকেও আসে দর্শনার্থীরা। দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে গোমতীর দুই পাড়। টিক্কাচর ছাড়াও ছুটির দিনগুলোতে গোমতী নদীর পালপাড়া, বানাশুয়া, টিক্কারচরের কাছাকাছি এলাকায় গড়ে উঠা রেস্তোরাঁ, কফি হাউজ কিংবা টংয়ের চা দোকান গুলোতে আডডা জমে উঠে।

ডাইনো পার্ক:

কুমিল্লার কোর্টবাড়ির ডাইনো পার্কে বেড়াতে গেলে স্বাগত জানাবে একদল ডাইনোসর। ভয় পাবেন না! ভাবতে পারেন টাইম মেশিনে চড়ে কোনো জুরাসিক পার্কে চলে এসেছেন। আসলে এগুলো কৃত্রিম ডাইনোসর। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পার হয়ে কিছুটা সামনে গেলেই মিলবে ডাইনো পার্ক। এখানে শিশু ও বড়দের নানা আকর্ষণীয় রাইডের পাশাপাশি পাহাড়, অক্টোপাস, ড্রাগন কোস্টার, জঙ্গল ক্যারাউজালসহ অসংখ্য দুঃসাহসিক জিনিস রয়েছে।

রূপসাগর

সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত একটি পার্ক এটি। সবুজ ছায়া ঘেরা পার্কটি নিমিষেই দূর করে দেয় সকল ক্লান্তি। শিশুদের নিয়ে বেড়ানোর জন্য চমৎকার জায়গা। মাঝে বন্ধ থাকলেও পার্কটি এখন সবার জন্য উন্মুক্ত আছে। দূরে ছোট ছোট পাহাড় পার্কের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে। মাঝে আছে একটি লেক। বড় একটি ক্যাফেটোরিয়া আছে যেখানে পাবেন সুস্বাদু খাবার।

ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় শহীদ হওয়া ব্রিগেডিয়ার পদমর্যাদার সৈনিকদের একটি আন্তর্জাতিক সমাধিক্ষেত্র এই ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি। ২৪ জন জাপানি যুদ্ধবন্দি ও একজন বেসামরিক ব্যক্তিসহ মোট ৭৩৭ জন সৈন্যের কবর আছে এই সমাধিক্ষেত্রে। কমনওয়েলথ পরিচালিত ওয়ার সিমেট্রিটির অবস্থান ময়নামতি সাহেব বাজার এবং কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের টিপরা বাজারের মধ্যস্থলে। প্রায় ৪ দশমিক ৫ একর পাহাড়ি ভূমির ওপর গড়ে তোলা ওয়ার সিমেট্রি বাংলাদেশের দ্বিতীয় কমনওয়েলথ সমাধিক্ষেত্র। স্থানীয়দের কাছে ইংরেজ কবরস্থান নামে পরিচিত।

রানি ময়নামতির প্রাসাদ

কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক ধরে পূর্বদিকে কমনওয়েলথের ওয়ার সিমেট্রি থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার গেলেই দেখা যাবে এই প্রাসাদ। এই পুরাকীর্তিটির নির্মাণকাল অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর কোনো সময়। সে সময় চন্দ্র বংশের রাজা মানিক চন্দ্র তার স্ত্রী ময়নামতির আরাম আয়েশের জন্য বানিয়ে দেন প্রাসাদটি। ১৯৮৮ সালে খননের সময় আবিষ্কৃত হয় এই প্রাসাদ। প্রতি বৈশাখের সপ্তম দিন থেকে এখানে মাসব্যাপী উদযাপন হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৈশাখী মেলা।

এ ছাড়া ভ্রমণপিপাসুরা লালমাই পাহাড়, ব্লু ওয়াটারপার্ক, ফান টাউন, ম্যাজিক প্যারাডাইস, রাজেশপুর ইকোপার্ক, লালমাই লেকল্যান্ডও ঘুরে আসতে পারেন। ফেরার সময় নিতে পারেন নগরীর কান্দিরপাড় মনোহরপুরে অবস্থিত কুমিল্লার বিখ্যাত মাতৃভান্ডারের রসমালাই।

ময়নামতি জাদুঘর

কুমিল্লার ঐতিহাসিক নিদর্শনের এক গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহশালা এই ময়নামতি জাদুঘর। এটি নব শালবনের পাশেই সালমানপুরে অবস্থিত। জাদুঘরের ৪২টি ভিন্ন ভিন্ন সংরক্ষণাগার ঘুরে দেখার সময় চোখে পড়বে ব্রোঞ্জ ও পাথরের ছোট-বড় মূর্তি, স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, ব্রোঞ্জের বিশাল ঘণ্টা, পোড়ামাটির ফলক, মাটির খেলনা, কাঠের পুরোনো জিনিসপত্র, মৃৎশিল্প সামগ্রী এবং প্রাচীনহাতে লেখা পান্ডুলিপিসহ প্রাচীন জিনিসপত্র।

কুমিল্লার চারপত্র, ইটাখোলা, রূপবান ও কোটিলা মুড়া, শ্রীভবদের মহাবিহার, রানির বাংলা ও ভোজ রাজবাড়ী বিহার এবং আনন্দ বিহার খননকালে খুঁজে পাওয়া যায় এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো। জাদুঘরের বিশ্রামাগার আর ফুল বাগান সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। দেশি-বিদেশি ফুলের সৌন্দর্য যা ভ্রমণপ্রিয় মানুষদের হৃদয়ে দোলা দিয়ে যায়। ১৯৬৫ সালে কোটবাড়ির শালবন বিহারের পাশেই স্থাপন করা হয় এই জাদুঘর। পাশাপাশি হওয়ায় এক সঙ্গে দুটো স্থানই ঘুরে আসতে পারেন পর্যটকরা।

নব শালবন বিহার

কুমিল্লার প্রাচীন নিদর্শনের এক নতুন সংযোজন কোটবাড়ি এলাকার এই বিহার। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শান্তি বিহার নামে পরিচিত বিহারটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৯৫ সাল। এখানকার মূল আকর্ষণ আপাদমস্তক ধাতুতে মোড়া প্রায় ছয় টন ওজনের ৩০ ফুট উচ্চতার সোনালি রঙের বুদ্ধের মূর্তি। ২০১৪ সালে থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ ধর্মীয় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এটি বাংলাদেশকে উপহার দেওয়া হয়।

রূপবান মুড়া

কুমিল্লার যত প্রত্নতত্ত্ব রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম রূপবান মুড়া। তবে লোকমুখে খুব একটা প্রচলন না থাকায় এ প্রত্নতত্ত্বটির সন্ধান অনেক ভ্রমণপ্রিয় পর্যটকের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেনি। কুমিল্লা-কালীর বাজার সড়কের দক্ষিণে পল্লী উন্নয়ন একাডেমির পাশেই একটি টিলার ওপর এ মুড়া অবস্থিত। পাহাড়ে ওঠার মতোই উঁচু পথ পাড়ি দিয়ে উঠতে হয় রূপবান মুড়াতে। খনন কাজের পর এখানে মাঝারি আকারের প্রায় ক্রুশ আকৃতির একটি সমাধি মন্দির আবিষ্কৃত হয়েছে। এর সঙ্গে আরও পাওয়া গেছে অষ্টাকোণাকৃতি স্তূপ এবং বর্গাকৃতির ভিতের ওপর আর একটি স্তূপসহ বেশসংখ্যক সাহায্য কাঠামোসমূহ।

আয়তাকার স্তূপ অঙ্গনের মধ্যে প্রাচীর দেয়াল এগুলোকে বেষ্টন করে রেখেছে। প্রথানুযায়ী পূর্বদিকে প্রবেশপথ আছে এবং এর সম্মুখে আছে মঠের প্রবেশদ্বার। গভীর খননকার্যের ফলে দেখা যায়, এর নির্মাণ, সংস্কার ও পুনঃনির্মাণের তিনটি স্তর আছে। প্রাচীনতম স্তরটি নির্মাণ করা হয়েছিল ছয় থেকে সাত শতকের মধ্যে।

ইটাখোলা মুড়া

জেলার আরেকটি দর্শণীয় স্থান ইটাখোলা মুড়া। এটি কোটবাড়ি সড়কের একটু সামনে গেলে রূপবান মুড়ার উল্টো দিকে অবস্থিত। অনেকেই মনে করেন, প্রাচীনকালে এ স্থানটি ইট পোড়ানোর খনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আর এজন্যই স্থানটির নাম ইটা খোলা মুড়া করা হয়েছে।

লতিকোট মুড়া

স্থানীয়ভাবে এই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাটি লতিকোট মুড়া নামে পরিচিত। কিন্তু খনেনর ফলে এখানে ৩৩টি ভিক্ষুকক্ষ বিশিষ্ট একটি বৌদ্ধ বিহারের নকশা উন্মোচিত হয়। ফলে এটিকে বর্তমানে লতিকোট বিহার নামে অভিহিত করা হয়। বিহারটিতে দুটি নির্মাণ যুগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। দ্বিতীয় নির্মাণ যুগে একটি মণ্ডপ নির্মাণ করা হয়েছিল। বিহারে প্রবেশের প্রধান তোরণ উত্তর দিকে ছিল। দর্শনীয় স্থানটি দেখতে এখানে অনেকেই ছুটে আসেন।

ময়নামতি লালমাই লেকল্যান্ড

নাম লেক হলেও এটি কোনো জলাশয় নয়। বরং একে সবুজের লেক বলা যেতে পারে। ঘাসে ঢাকা পাহাড়ি এলাকার একটি অংশকে নিয়ে বিনোদনের আয়োজন করা হয়েছে এখানে। পাহাড়কে ঘিরে আছে ট্রেন রাইডের ব্যবস্থা। পশু পাখির নানান ধরণের প্রতিকৃতি জায়গাটির শোভা বাড়িয়েছে। তবে এখানকার প্রকৃতির সৌন্দর্য্যই মনকে আনন্দ দিতে যথেষ্ট।

রেশম উন্নয়ন কেন্দ্র

রাণীর বাংলো পাহাড়ের কাছেই রেশম উন্নয়ন কেন্দ্র। রেশম পোকা থেকে চমৎকার সুন্দর আর দামী কাপড় তৈরি হয় এটা তো আমরা সবাই জানি। কিন্তু প্রক্রিয়াটা দেখা হয় নি বেশিরভাগ মানুষেরই। এখানে দেখতে পারবেন পুরো প্রক্রিয়াটিই। ভালো লাগবে আশা করি।

আনন্দ বিহার

কোটবাড়ির ময়নামতিতে অবস্থিত স্থাপনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় এই বিহারটি ছিল উপমহাদেশের সর্বশেষ বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়। এটি নির্মাণ করেছিলেন দেব রাজবংশের তৃতীয় শাসক শ্রী আনন্দ দেব। সপ্তম অথবা অষ্টম শতাব্দীর প্রথম দিকে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ধারণা করা হয়, সপ্তম শতকের শেষ সময়ে এই বিহার ছিল সমতটের রাজধানী। নান্দনিক বর্গাকৃতির বিশাল অবকাঠামোর ঠিক মধ্যখানে রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্দির এবং অপরূপ এক দিঘি।

ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক

পার্কটিতে রয়েছে বিনোদনের সব আয়োজন। কুমিল্লা ইউনিভার্সিটির পাশে দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার সামনে গেলেই কোটবাড়ি বনের মধ্যে দেখা মিলবে এক নতুন সম্রাজ্যের। ডিজনিল্যান্ডের (বিশ্বের সবচেয়ে বড় থিম পার্ক) আদলে তৈরি করা হয়েছে ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক এর বিশাল ফটক। ওয়াটার পার্ক, ২০টিরও বেশি বিভিন্ন ধরনের রাইড, ডাইনোসর পার্ক, পিকনিক স্পটসহ ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্কটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি এমিউজমেন্ট পার্ক।

সবুজ প্রকৃতি আর কৃত্রিমের ছোঁয়া মিলে মিশে একাকার পার্কটি। ভিতরে ঢুকতেই বিশাল এক নাগরদোলা। চুড়ায় বসে পুরো পার্কের দৃশ্য দেখার মত।

এছাড়া পার্কে রয়েছে রেল, রোলার কোস্টারসহ শিশু-কিশোরদের নানা রাইড। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কৃত্রিম ওয়েভ পুলের দাবিদার এই পার্কটি। উচ্চ শব্দের গানে, ঢেউয়ে ঝাপিয়ে পড়ার আনন্দ বলে বুঝানো যাবে না। বাচ্চাদের জন্যও ওয়াটার পুলে রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

বিনোদন কেন্দ্র ফান টাউন

২০১৬ সালে চালু হওয়া বিনোদন কেন্দ্র এটি। নানান রকম রাইড, কৃত্রিম ঝর্ণা, ১৫ডি সিনেমা হল সব মিলিয়ে শিশুদের নিয়ে মজার সময় কাটাতে চাইলে দারুণ একটি জায়গা এটি।

ব্লু ওয়াটার পার্ক

এটি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই অবস্থিত। পাহাড়ের পাদদেশে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে এই বিনোদন কেন্দ্রটি। ভেতরে ঢুকে দেখতে পারবেন কৃত্রিম ঝরনা। পাবেন পাহাড়ে ওঠার অভিজ্ঞতা। এ ছাড়া ওয়াটার রাইডেও চড়তে পারবেন। এখানে প্রবেশ করতে জনপ্রতি ৫০ টাকা লাগবে।

তবে মনে রাখবেন

যারা অন্য জেলা থেকে আসবেন তারা কুমিল্লায় এলে ভুল করে বিশ্ব রোড থেকে মাতৃভান্ডারের রসমালাই কিনতে যাবেন না, কারণ এগুলো আসল মাতৃভান্ডারের রসমালাই নয়, আপনি চলে যাবেন মুল শহরের কান্দিরপাড়ে, যেখানে প্রকৃত মাতৃভান্ডারের রসমালাই ছাড়াও রয়েছে কুমিল্লার বিখ্যাত খাদি কাপড়।