ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া পৌর শহরের খড়মপুরের হযরত সৈয়দ আহমদ গেছুদারাজ কেল্লা শহীদ (রহ.) মাজার শরীফের শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী ওরস। ওরসে আসা ভক্ত আশেকানদের নজর বাড়ছে গাছ বাতি নামে মোমবাতি। একেকটি মোমবাতি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায়। মোমবাতিটি উচ্চতা প্রায় ৪ ফুট। এর ওজন ১০ কেজির ওপর। এই মোমবাতি দেখতে দোকানে ভিড় করছেন অনেকেই।
সরেজমিনে মাজার সংলগ্ন মোমবাতির দোকানে গিয়ে দেখা যায়, ওরস উপলক্ষে নানা জাতের মোমবাতি তৈরি করে সাজিয়ে রেখেছেন দোকানিরা। যার যার মতো করে ওইসব মোমবাতি কিনে মাজারে জ্বালাচ্ছেন ভক্ত আশেকানরা।
মোমবাতি বিক্রেতা সিয়াম খাদেম জানান, এবার ওরস উপলক্ষে অন্যান্য মোমবাতি তৈরির পাশপাশি ২০টি বড় আকারের গাছ বাতি নামে মোমবাতি তৈরি করেছেন। একেকটি তৈরি করতে ২ ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়। যার ওজন রয়েছে ১০ কেজির ওপর। এ পযর্ন্ত ১৬টি বিক্রি হয়েছে। প্রতি পিস মোমবাতি বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায়।
গৃহিনী খোদেজা বেগম বলেন, প্রতি বছর ওরস উপলক্ষে মাজারে আসি। মনের আশা পূরণের জন্য এই মাজারে নিজ হাতে সব সময় মোমবাতি জ্বালাই। তাই এবারো বড় আকারের মোমবাতি কিনেছি জ্বালানো জন্য।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা আফজাল হোসেন বলেন, এতো বড় মোমবাতি কখনো দেখিনি। এই মাজারে এসে প্রথম দেখলাম।
আখাউড়া থানার ওসি আসাদুল ইসলাম বলেন, ওরস উদযাপনের লক্ষ্যে নিরাপত্তামূলক সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছে। আশা করি নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি হবে না।
মাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম খাদেম মিন্টু বলেন, শাহপীর কেল্লা শহীদ (র.) সপ্তাহব্যাপী বার্ষিক ওরস মোবারক শুরু হয়েছে। ওরস মোবারকে কেন্দ্র করে সড়ক, রেল ও নৌপথে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসছেন অসংখ্য ভক্ত আশেকানরা।
তিনি আরো বলেন, ওরস চলাকালে মাজার জিয়ারত, কোরআন খানি, জিকির ও বয়ান হয়ে থাকে। বয়ানে দেশের প্রখ্যাত আলেমরা অংশ নেন।