
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হলে বিদ্যমান ডাইনিং পরিচালকের চুক্তি বাতিল করেছে হল প্রশাসন। বকেয়া পরিশোধ না করা, চুক্তির একাধিক শর্ত ভঙ্গ ও খাবারের মান নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর ২০২৫) প্রকাশিত নোবিপ্রবির ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের প্রভোস্ট ফরিদ দেওয়ান স্বাক্ষরিত স্মারক নং-নোবিপ্রবি/এএসএইচ/২০২৫/ ২৩০ নোটিশ সূত্রে জানা যায়, মো. নাজমুল হোসেন (সাং: জাফর মিয়ার বাড়ি; গ্রাম: কালিরাপুর, ডাকঘর: নোয়াখালী-৩৮০০, উপজেলা: নোয়াখালী সদর; জেলা: নোয়াখালী) ২০১৪ সালের ১২ মে থেকে ২০১৬ সালের ১১ মে পর্যন্ত মেয়াদে ডাইনিং পরিচালনার জন্য চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি চুক্তির বিভিন্ন শর্ত লঙ্ঘন করেন।
চুক্তিপত্রের ৪, ৫, ১৯, ২৫ ও ২৭ নম্বর শর্ত অনুযায়ী জামানত, ভাড়া, অভিযোগ বাক্স সংরক্ষণ, শিশু শ্রমিক নিয়োগ না করা এবং ডাইনিং–এর পিছনের অংশের বিদ্যুৎ বিল সময়মতো পরিশোধের বিধান থাকলেও তিনি তা মানেননি।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বহিরাগত ইজারাদারদের ব্যবহৃত গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল নিজ দায়িত্বে পরিশোধের নিয়ম থাকলেও তিনি জুন থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত কোনো গ্যাস বিল পরিশোধ করেননি।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার মৌখিকভাবে অবহিত করার পরও তিনি বকেয়া পরিশোধ না করায় গত ১৬ অক্টোবর তাকে সাত দিনের মধ্যে সমস্ত বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সে নির্দেশনাও তিনি অমান্য করেন।
এ ছাড়া, তার বিরুদ্ধে খাবারের মান নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, খাবারের দাম বৃদ্ধি এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্য উপাদান (যেমন টেস্টিং সল্ট) ব্যবহারের অভিযোগেরও সত্যতা পাওয়া গেছে।
উপরোক্ত অনিয়ম ও শর্তভঙ্গের প্রেক্ষিতে চুক্তিপত্রের ৩১ নম্বর শর্ত অনুযায়ী (যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চুক্তি বাতিলের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে) হল প্রশাসন তাকে ডাইনিং পরিচালনায় “অসমর্থ” বিবেচনা করে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
চুক্তির ১১ নম্বর শর্তানুযায়ী, এই পত্র জারির তারিখ থেকে এক মাস পর, অর্থাৎ আগামী ২৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে তিনি ডাইনিং পরিচালনার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাবেন। এ সময়ের মধ্যে (২৮ অক্টোবর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত) তিনি নিয়মিতভাবে খাবার সরবরাহ অব্যাহত রাখবেন এবং ২১ দিনের মধ্যে সব বকেয়া পরিশোধ করবেন।
হল প্রশাসন সূত্রে জানা যায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দায়িত্ব হস্তান্তরের পূর্বে হল কর্তৃপক্ষের সরবরাহকৃত সব উপকরণ যথাযথভাবে হল অফিসে ফেরত দিতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয় নোটিশে।










