এপ্রিল ২০, ২০২৫

রবিবার ২০ এপ্রিল, ২০২৫

ঈদের ছুটি শেষে ক্যাম্পাস খুললেও চালু হয়নি ক্যান্টিন, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

Campus reopens after Eid holidays, but canteen not operational, students suffer
ছবি: প্রতিনিধি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ঈদের ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম ও হলগুলো চালু হলেও এখনো চালু হয়নি ছাত্রদের আবাসিক হল দুটির ক্যান্টিন। ববিতে ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষ হয়েছে ১০ এপ্রিল।

শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলে ফিরেছেন, তবে ছুটি শেষ হওয়ার ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও চালু হয়নি শেরেবাংলা ও বিজয় ২৪ হল দুটির কোনোটির ক্যান্টিন। হল দুটিতে প্রায় ১১০০ শিক্ষার্থী অবস্থান করেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই বিশাল সংখ্যক আবাসিক শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিন বাইরে থেকে খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে সময় ও অর্থ—দুই দিক থেকেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের।

শিক্ষার্থীরা জানান, ডাইনিং বন্ধ থাকায় নিয়মিত খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। হোটেল ও রেস্তোরাঁর খাবার একদিকে যেমন ব্যয়বহুল, অন্যদিকে তেমন স্বাস্থ্যকরও নয়। ফলে অনেকেই অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন।

শেরে বাংলা হলের আবাসিক ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী হামিম নিশান শিকদার বলেন, “রমজান উপলক্ষে দেওয়া ছুটি শেষ হলেও হলের ডাইনিং এখনো চালু হয়নি। তার উপর হল কর্তৃপক্ষের কড়া নির্দেশ—নিজ উদ্যোগে হলে কোনো রান্না করা যাবে না। এমতাবস্থায় আমরা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছি। না পারছি নিজে রান্না করে খেতে, না আছে হলের ডাইনিংয়ের খাবার। বাইরে থেকে খাবার কিনতে হচ্ছে—এতে স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থ ও সময়ও ব্যয় হচ্ছে।”

বিজয় ২৪ হলের আবাসিক ও মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, সাধারণত আর্থিকভাবে দুর্বল ও পড়াশোনায় ভালো করতে বিভিন্ন বাড়তি সুযোগ সুবিধার জন্য শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করেন। কিন্তু প্রায় সময় হলের ক্যান্টিন বন্ধ থাকে এবং ঈদের পর এখনো চালু হয়নি। এতে করে হলে থেকে সুবিধার জায়গায় বরং ভোগান্তি আরো বৃদ্ধি পায়,খাবার খেতে তিনবেলায় দূরের হোটেল গুলোয় যাওয়া লাগে, এমনকি বাড়তি চাপ তৈরি হওয়ায় সেগুলোতে সবসময় খাবার পাওয়াও যায় না। সময়ের পাশাপাশি বাড়তি অর্থ খরচের বিষয়তো রয়েছেই। দ্রুত ক্যান্টিন সমস্যার সমাধানে হল প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

শেরেবাংলা হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক ড.আবদুল আলীম বছির বলেন, ক্যাম্পাস খোলার মাঝখানে পহেলা বৈশাখ ছিল। শিক্ষার্থীরা সবাই ফিরেছে কি না—এই ব্যাপারে ক্যান্টিন ম্যানেজার নিশ্চিত ছিলেন না, এজন্য ক্যান্টিন খোলা হয়নি। আমাদের ক্যান্টিনের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা হয়েছে, আশা করি আগামীকাল থেকে ক্যান্টিন চালু হবে।

বিজয় ২৪ হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক মো.মেহেদী হাসান বলেন, রোজার মধ্যেই ক্যান্টিন ম্যানেজার ক্যান্টিন চালাবেন না বলে জানিয়েছিলেন। আমরা উভয় পক্ষের কাছ থেকে আবেদন পেয়েছি। তাদের সঙ্গে দুই দফা আলোচনা হয়েছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব সিদ্ধান্ত নেব।