ইরান সরকার নারীদের ইসলামি পোশাক পরিধানের বিষয়ে কঠোর হচ্ছে। কোন নারী ইসলামিক পোশাকবিধি লঙ্ঘন করলে, তাকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে- এমন বিধান রেখে সংসদে বিল পাস করেছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) তিন বছরের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে এ সম্পর্কিত একটি বিল পাস হয়ে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। খবর আল জাজিরার।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়, নতুন পাস হওয়া এই খসড়া আইন অনুযায়ী বিদেশি বা শত্রু দেশের সরকার, সংবাদমাধ্যম, কোনো গোষ্ঠী অথবা সংস্থার প্ররোচনায় পড়ে কেউ হিজাব বা যথাযথ পোশাক না পরলে অভিযুক্তের ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, ওই বিলে ইসলামিক পোশাক বিধি লঙ্ঘনকারী নারীদের ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
তবে এ বিলটি এখনো আইনে পরিণত হয়নি। আইনে পরিণত হতে হলে দেশের গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অনুমোদন প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছে ইরানি বার্তা সংস্থা ইরনা।
গত বছর বড় ধরনের হিজাববিরোধী বিক্ষোভের পর থেকে ইরানে নারীরা ঠিকঠাক মতো ইসলামি পোশাক নীতি মেনে চলছে না। নারীদের এ প্রবণতা দমন করতেই কঠোর আইন পাস করতে চলেছে ইরান।
উল্লেখ্য, হিজাব ঠিকমতো না পরার কারণে মাশা আমিনি নামে ওই তরুণীকে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে দেশটির নৈতিকতা পুলিশ। পরে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় ১৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পর সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আন্দোলনে সংহতি জানালে
একপর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে পাঁচ শতাধিক বিক্ষোভকারী নিহত হয়। গ্রেপ্তার করা হয় কয়েক হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুকে।