পরবর্তী বৈশ্বিক মহামারির জন্য বিশ্বকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। সতর্কতা জারি করে তিনি বলেছেন, “কোভিডের আরেকটি ধরনের উদ্ভব এবং তার কারণে রোগ ও মৃত্যুর নতুন ঢেউয়ের ঝুঁকি রয়ে গেছে, পাশাপাশি নতুন আরেকটি রোগের আবির্ভাব এবং সেটির আরও মারাত্মক হওয়ার সম্ভাবনাও আছে”।
মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্ষিক সমাবেশে তিনি এমনটি বলেন।
তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা তুলে নেয়া মানে এই নয় যে, এর হুমকিও শেষ হয়ে গেছে। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন রোগী বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যুও হচ্ছে। আরও মারাত্মক বৈশিষ্ট্যের আরেকটি রোগ সংক্রামক জীবাণু আসার হুমকিতে রয়েছে বিশ্ব।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে করোনাভাইরাস মহামারি আর ‘বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ নয় বলে ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
ডব্লিউএইচও প্রধান বলছেন, পরবর্তী সময়ে কোনো মহামারি আঘাত হানলে আমাদের অবশ্যই সিদ্ধান্তমূলক, সম্মিলিতভাবে এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে সেটি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অধীনে স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে করোনার উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। এই প্রভাব ২০৩০ সাল পর্যন্ত থাকবে।
এর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।