ডিসেম্বর ১১, ২০২৪

বুধবার ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪

‘আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়েছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা’

Rising Cumilla - Private university students turned the tide of the movement
ছবি: সংগৃহীত

অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা ১৮ জুলাই সকালে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। এর ফলে আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘ডিগনিটি’র প্রশ্নে আন্দোলনে নেমেছিল জানিয়ে প্রেস সেক্রেটারি বলেন, এ আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ১৮ জুলাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের প্রতিরোধ এ আন্দোলনের গতি সঞ্চার করে। এটিও ‘নিউ মিডিয়া’র কারণে সম্ভব হয়েছে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দেশের প্রথম বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) আয়োজিত ‘দ্য রোল অব নিউ মিডিয়া ইন রেভ্যুলেশন অ্যান্ড রি-বিল্ডিং’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রেস সেক্রেটারি বলেন, এ আন্দোলনে বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা বুক পেতে দিয়েছেন। কিন্তু এটি গণমাধ্যমে সেভাবে আসেনি। এটি আমাদের গণমাধ্যমের ব্যর্থতা। এ আন্দোলনে দু’টি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে বাংলা ব্লকেড একটি। এ আন্দোলনে ১৮ জুলাই এবং ৩০ জুলাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। ১৮ জুলাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ এবং ৩০ জুলাই শেখ হাসিনাকে ‘লাল কার্ড’ দেখানো। এটি ‘নিউ মিডিয়া’র কারণে সম্ভব হয়েছে।

আয়োজনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের উপস্থাপন মানজুর আল মাতিন। আন্দোলনের এ পরিচিত মুখ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে এসে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, এ আন্দোলনে আমি রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং এনএসইউ’র গ্রুপগুলোতে ছিলাম। সেখানে আমি দেখেছিলাম, কীভাবে ‘সিভিল ওয়ারে’র প্ল্যান সাজানো হয়েছিল।

পতিত স্বৈরাচার জনগণকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে জানিয়ে মানজুর বলেন, এ আন্দোলনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল ‘দ্বিমত’ প্রকাশের স্বাধীনতাও। আমি আমার মত প্রকাশ করব, যেটি কারও সাথে মিলবে না। কিন্তু, তাতে কেউ বাঁধা দেবে না।

এ আন্দোলনে সবার অংশগ্রহণ ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বড় ভূমিকা ছিল। এর বাইরে সাধারণ মানুষ, রিকশাচালক সবাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। এটিও ‘নিউ মিডিয়া’র কারণে সম্ভব হয়েছে। লড়াই এখনও চালিয়ে যেতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের এ অবস্থান জারি রাখতে হবে।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির মিডিয়া, কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম (এমসিজে) প্রোগামের শিক্ষক ড. শরিফুল ইসলাম ইমশিয়াতের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।