আজ বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আমেরিকার মানুষ নির্ধারণ করবেন তাদের আগামী চার বছরের নেতা। এই নির্বাচনকে ঘিরে বিশ্ববাসীর আগ্রহেরও শেষ নেই। কেননা ওভাল অফিসের পরবর্তী প্রধান প্রভাব বিস্তার করবেন বৈশ্বিক রাজনীতিতেও।
নির্বাচনের আগে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে ভোটারদের কাছে টানতে নিজেদের বাগ্মিতার সর্বোচ্চ উজাড় করে দিচ্ছেন দুজনেই। কেননা, নির্বাচনের ফল নাটকীয়ভাবে ঘুরিয়ে দিতে এই অঙ্গরাজ্যগুলোর কোনও জুড়ি নেই।
রবিবার (৩ নভেম্বর) আরব আমেরিকানদের মন জয়ের প্রচেষ্টায় মিশিগানে প্রচারণা চালাতে গিয়েছিলেন হ্যারিস। সেখানে বক্তব্য প্রদানকালে গাজা যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
কমলা হ্যারিস বলেছেন, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজা ও লেবাননে ধ্বংস, মৃত্যু ও বাস্তুচ্যুত পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববাসীর জন্য বেদনাদায়ক সময় ছিল এটি। ক্ষমতায় এলে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
অবশ্য যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিলেও ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার নিয়েও কথা বলেছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট।
একই দিনে দুই দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য পেনসিলভিনিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনায় প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রচারণায় বক্তব্য প্রদানকালে বাইডেন প্রশাসনকে তীব্র বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছেন তিনি।
ডেমোক্র্যাটদের সমালোচনা করে সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেছেন, চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যর্থ একটি দেশ বানিয়ে ছেড়েছে বাইডেন সরকার। এজন্য ডেমোক্র্যাটদের লজ্জিত হওয়া উচিত।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, রিপাবলিকান পার্টি ক্ষমতায় এলে আগামী চার বছর সোনালি সময় কাটাবেন মার্কিনিরা।