জুলাই ২৭, ২০২৪

শনিবার ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজ পহেলা বৈশাখ, বাংলা ১৪৩০ সালের প্রথম দিন

আজ পহেলা বৈশাখ, বাংলা ১৪৩০ সালের প্রথম দিন
আজ পহেলা বৈশাখ, বাংলা ১৪৩০ সালের প্রথম দিন। ছবি: সংগৃহীত

আজ (শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ, বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বছর ১৪৩০। পহেলা বৈশাখ বাঙালি জীবনে এসেছে পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে। জীর্ণ-পুরাতনকে পেছনে ফেলে সম্ভাবনার নতুন বছরে প্রবেশ করবে বাঙালি জাতি।

আজ পহেলা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মাতবে দেশ। সকালে ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানী জুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন।

সূর্যোদয়ের সময় রাজধানীর রমনার বটমূলে ছায়ানটের শিল্পীদের বৈশাখের আগমনী রবীন্দ্র সঙ্গীত ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ দিয়ে দিনব্যাপী উৎসবের শুরু হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এ দিন নানা ঐতিহ্যবাহী উৎসব আর আনন্দে মেতে উঠবেন।

ছয় শতাধিক বছর আগে বাংলা বছর চালুর পর থেকেই পহেলা বৈশাখ পালন বাঙালির অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। মুঘল সম্রাট আকবর তৎকালীন সুবে বাংলা থেকে জমির খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা সন চালু করেন

‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩০’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্যাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি পালন করছে সরকার। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করছে। ছায়ানট ভোরে রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপন করছে। ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করছে। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত ও এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয়।

বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস ও ইউনেস্কো কর্তৃক এটিকে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসাবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। বাংলা নববর্ষে সকল কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার ও ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীসহ বাঙালিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।