ডিসেম্বর ১২, ২০২৪

বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

আগামীকাল ফাইনালে কুমিল্লার মুখোমুখি বরিশাল

Comilla Victorians vs Fortune Barishal
কুমিল্লা ভিক্টেরিয়ান্স (বামে) ও ফরচুন বরিশাল (ডানে)। গ্রাফিক্স: রাইজিং কুমিল্লা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এবার নিয়ে পঞ্চমবারের মত ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টেরিয়ান্স। ফাইনালে কুমিল্লা মানেই হলো চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে বাড়ি ফেরা। এখন পর্যন্ত চারবারই জিতেছে শিরোপা। নামের শেষেই যাদের বিজয়ী পদবী; চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তো তাদেরই মানিয়ে যায়। ফাইনালে জয়ের এই রেকর্ডকে আরো সমৃদ্ধ করার সুযোগ আসছে কুমিল্লার সামনে।

আগামীকাল শুক্রবার (১ মার্চ) বিপিএলের দশম আসরে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ভিক্টেরিয়ান্স।

২০২১-২২ মৌসুমের ফাইনালেও দেখা হয়েছিল এই দুই দলের। যেখানে শেষ হাসি হেসেছিল গোমতী পাড়ের অঞ্চলটি। এক বছর বিরতি দিয়ে আবার ফাইনালে দেখা হচ্ছে এই দুই দলের।

বরিশালের জন্য এবারের লড়াইটা তাই কিছুটা প্রতিশোধের। যদিও সেবারের ফাইনালের দুই দলের যারা অধিনায়ক তারা কেউই এবার নেই। তবে যারা আছেন, তারাও পরীক্ষিত অধিনায়ক। কুমিল্লার নেতৃত্বের ভার এবার লিটনের কাঁধে। আর বরিশালের অধিনায়কত্বের আসণে তামিম ইকবাল।

ফাইনালিস্ট দুই অধিনায়ক ফাইনালের আগেই একবার মুখোমুখি হচ্ছেন আজ। বিপিএলের প্রেস্টিজিয়াস ট্রফি নিয়ে অফিসিয়াল ফটোশ্যুটে হাজির হবেন দুজন। গেলবার সিলেট স্ট্রাইকার্স এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স তাদের ফটোশ্যুট করেছিল মেট্রোরেলে। এবার তা হবে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী আহসান মঞ্জিল জাদুঘরে।

এর আগে বুধবার বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে কিছুটা একপেশে ম্যাচই খেলেছে বরিশাল। রানতাড়া করতে নেমে বিপিএলে প্রথমবার নন-স্ট্রাইকে ছিলেন তামিম। কারণটা যে ফজল হক ফারুকী তা সবারই জানা। তবে এড়িয়ে গিয়ে লাভ হয়নি। তামিম আউট হয়েছেন ১০ রান করে। আবু হায়দার রনির বলে মোহাম্মদ নবীকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

একই ওভারে কাটা পড়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজও। এক বলের বিরতিতে এলবিডব্লিউতে আউট তিনি। তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিম এবং সৌম্য সরকার খেললেন ৪৭ রানের জুটি। রংপুরের কাছ থেকে ম্যাচ বেরিয়ে গিয়েছে তখনই। সাবধানী ইনিংস খেলে বরিশালকে নিয়ে গিয়েছেন লক্ষ্যের আরও কাছে।

মোহাম্মদ নবী আক্রমণে এসেই সৌম্যকে ফিরিয়েছেন। ১৮ বলে ২২ রান করে ফাইনালের পথে দলকে এগিয়ে দিয়ে যান সৌম্য। মুশফিক ছন্দে ছিলেন আজ শুরু থেকেই। কাইল মায়ার্সকে নিয়ে রংপুরের নাভিশ্বাস তুলেছেন। খুব দ্রুতগতির না হলেও খেলেছেন কার্যকরী ইনিংস। অন্যদিকে বিগশট উপহার দেন মায়ার্স। ১৫ বলে ২৮ রানের ইনিংসে ছিল ৩ ছয়। আউটও হয়েছেন বড় শট খেলতে গিয়ে। বাউন্ডারি লাইনে হাসান মাহমুদ এবং রনি তালুকদারের বোঝাপড়ায় আউট তিনি।

মুশফিক বাকি কাজটা সেরে নিয়েছেন ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে। দশবছরে ৮ বার দল পালটে বিপিএল শিরোপা পাননি তিনি। এবার সেই লক্ষ্য পূরণের সুযোগটা আবার পাচ্ছেন। আর বিপিএলে পাঁচবারের টুর্নামেন্ট সেরা সাকিব এবার আসর শেষ করছেন কোয়ালিফায়ার থেকেই।

আগামীকাল ১ মার্চ বিপিএলের ফাইনাল মাঠে গড়াবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই জায়ান্ট দল।