জানুয়ারি ১৮, ২০২৫

শনিবার ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫

অল্প বয়সেই চুল পাকছে? জানুন কারণ ও প্রতিকার

Rising Cumilla - White Hair
প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

আজকাল অনেকেই অল্প বয়সেই চুল পাকার সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু কেন এমনটা হয়? চুলের রং হারিয়ে যাওয়ার পেছনে কী কারণ?

আসুন জেনে নিই বিস্তারিত।

কেন অল্প বয়সে চুল পাকে?

  • জেনেটিক কারণ: অনেক ক্ষেত্রে চুল পাকা বাংশানুক্রমিক হতে পারে। যদি পরিবারের অন্য সদস্যদেরও অল্প বয়সে চুল পাকার সমস্যা থাকে, তাহলে আপনারও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • মানসিক চাপ: অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এটি চুলের রং তৈরি করে এমন মেলানিনের উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
  • পুষ্টির অভাব: আয়রন, ভিটামিন বি১২, প্রোটিন ও ওমেগা-৩ এর অভাব চুল পাকার কারণ হতে পারে।
  • অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা: ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান এবং অনিয়মিত ঘুম চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
  • হরমোনজনিত সমস্যা: থাইরয়েড, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) ইত্যাদি হরমোনজনিত সমস্যা চুল পাকার কারণ হতে পারে।

চুল পাকা রোধে কী করবেন?

স্বাস্থ্যকর খাবার: চুল পাকা রোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো পুষ্টির অভাব। এজন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন। প্রতিদিনের খাবারে আয়রন, ভিটামিন বি ১২, প্রোটিন এবং ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যেমন ডিম, মাছ, সবুজ শাকসবজি, বাদাম ও ফল।

ধূমপান পরিহার: বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, ধূমপান শরীরের প্রিম্যাচিউর এইজিংয়ের জন্য দায়ী। ধূমপান বন্ধ করলে সার্কুলেশন পর্যাপ্ত গতিতে চলে, আর চুলের অকালপক্বতাও রোধ হয়।

নারকেল তেল ও কারি পাতা: কারি পাতায় উপস্থিত বিটা-ক্যারোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান চুল পাকায় বাধা দেয়। এ জন্য নারকেল তেলে কারি পাতা সিদ্ধ করে ঠাণ্ডা করে নিন।

আমলা: আমলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এটি চুলের জন্য উপকারী। আমলার রস বা আমলা পাউডার দিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করে ব্যবহার করুন।

পেঁয়াজের রস:পেঁয়াজ সালফার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এগুলো চুলের গোড়া মজবুত করে এবং ধূসরতা কমায়। চুলের গোড়ায় টাটকা পেঁয়াজের রস লাগান, ৩০ মিনিট রাখুন, তারপর ধুয়ে ফেলুন।

কপার সমৃদ্ধ খাবার: আমাদের শরীরে কপারের অভাবে চুল পেকে যেতে পারে। তাই খাদ্য তালিকায় পালংশাক, মাংস, আনারস, ডালিম, বাদাম, মাশরুম পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখুন।

চাপ কমান: অতিরিক্ত চাপ চুলের অকালে পাকার পেছনে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। তাই দৈনন্দিন জীবনে যোগব্যায়াম, ধ্যান ও ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি মানসিক চাপ কমাবে এবং চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করবে।

তেল মালিশ: নিয়মিত চুল মালিশ করুন। এটি চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগাবে এবং ধূসর হওয়া কমিয়ে দিবে। তেল মালিশের জন্য নারকেল তেল, বাদাম তেল বা ক্যাস্টর অয়েল হালকা গরম করুন এবং সপ্তাহে ২-৩ বার চুলে ম্যাসাজ করুন।

মনে রাখতে হবে, যদি আপনার চুল পাকার সমস্যা অতিরিক্ত হয় তাহলে অবশ্যই একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

সূত্র : বোল্ডস্কাই