কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৬ সালের ২৮ মে বাংলাদেশের ২৬ তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। লাল মাটির ক্যাম্পাস খ্যাত দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) আজ রোববার ১৮ বছরে পদার্পণ করেছে।
আজ রোববার ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে, র্যালিতে নেতৃত্বদান এবং কেক কেটে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২৩ উদযাপন করেন মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের ২৬ তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে মাত্র ৫০ একরের মাঝে। বর্তমানে এর পরিধি বাড়িয়ে ২০০ একর করা হয়েছে। ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষে ৭ বিভাগ, ৩০০ শিক্ষার্থী, ১৫ শিক্ষক ও ৫০ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে চালু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৬ অনুষদের অধীনে ১৯ বিভাগে সাত হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবে বিদেশি শিক্ষার্থী আসছে না বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও দ্যুতি ছড়িয়ে আসছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘থিয়েটার’ ‘প্রতিবর্তন’, ‘অনুপ্রাস’, ‘প্লাটফর্ম’, ‘সায়েন্স ক্লাব’, ‘ডিবেটিং সোসাইটি’, ‘বন্ধু’ ও ‘সাংবাদিক সমিতি’সহ বিভিন্ন সংগঠন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি অনুষদের অধীন ১৯টি বিভাগে ব্যাচেলর অব অনার্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, মাস্টার্স ডিগ্রি চালু রয়েছে। এ ছাড়া এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর কার্যক্রম চলছে। নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ইভিনিং প্রোগ্রামও চালু রয়েছে বেশ কয়েকটি বিভাগে। ইংরেজি বিভাগ, ব্যবসা শিক্ষা অনুষদ ও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে ইভিনিং প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। তবে এই প্রোগ্রামের নাম বর্তমানে উইকেন্ড প্রোগ্রাম।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আছে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য, বঙ্গবন্ধুর মোড়ালসহ ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনার। মুক্ত জ্ঞান চর্চার জন্য রয়েছে মুক্তমঞ্চ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। এছাড়াও আছে ক্যাফেটেরিয়া, ব্যায়মনাগার এবং নামাজ আদায়ের জন্য কেন্দ্রীয় মসজিদ।
১৮তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সে ধারা অব্যাহত থাকবে। এ প্রচেষ্টায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদেরও আমরা পাশে চাই। ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিক কোলাবরেশনের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে আমরা এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঙ্ক্ষিত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা সবাই মিলে কাজ করব- প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।