সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

শপিং করতে যাচ্ছেন? জেনে নিন জনপ্রিয় বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ডের তালিকা

Clothing brands Store
ছবি: ফেসবুক

বাজারে পোশাক বিক্রির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ধর্মীয় উৎসব। মুসলিমদের ঈদুল ফিতর- ঈদুল আজহা কিংবা অন্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব শুরু হতে না হতেই সরব হতে শুরু করে পোশাক ব্র্যান্ড গুলো। ফ্যাশন সচেতন ক্রেতারা তাদের পছন্দের ব্র্যান্ডের কাছে ছুটে আসেন নতুন কাপড়ে উৎসবকে আরও স্মরণীয় করে রাখার জন্য।

বাজারে বেশ কিছু পোশাক ব্র্যান্ড দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। আজ তুলে ধরছি তেমনি বাংলাদেশের ১৪টি জনপ্রিয় পোশাক ব্র্যান্ডের তালিকা:

ইয়োলো: ইয়োলো, সবচেয়ে ট্রেন্ডি পোশাক ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে একটি, বেক্সিমকোর মালিকানাধীন। ২০০৪ সালে ইয়েলো ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠিত। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটি তরুণের আধুনিক ফ্যাশন নিশ্চিত করে ইয়োলো। ইয়োলোতে টি-শার্ট, হাফ-হাতা, লম্বা হাতা, জিন্স, পাঞ্জাবি এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের পোশাক পাওয়া যায়। মহিলাদের জন্য, এতে শাড়ি, কামিজ, হিজাব, টি-শার্ট, জিন্স ইত্যাদির একটি দুর্দান্ত নির্বাচন রয়েছে।

লা রিভ: বিশাল রিভ সাম্রাজ্যের রিভ টেক্স লিমিটেডের একটি সুপরিচিত ব্র্যান্ড লা রিভ, যার শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে। সেই থেকে প্যারেন্ট কোম্পানির সান্নিধ্য ছাড়িয়ে জনপ্রিয়তায় নিজের একটি স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করেছে পোশাক ব্র্যান্ডটি।

আড়ং: বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ বেসরকারি সংগঠন ব্র্যাকের সামাজিক উদ্যোগ হিসেবে আড়ংয়ের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর। প্রতিষ্ঠাতা আয়েশা আবেদ এবং আমেরিকান শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী মার্থা চ্যান। আড়ংয়ের স্বভাবতই এক্সক্লুসিভ কালেকশনের অন্যতম আকর্ষণ হ্যান্ড এম্ব্রয়ডারি। কাট, প্যাটার্ন ও নকশার সমন্বয়ে করা প্রতিটি পোশাকই মানানসই।

সেইলর: সেইলর বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশিষ্ট এবং স্টাইলিশ লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে একটি। মোঃ শিহাব উদ্দিন নাবিকের সিইও। এপিলিয়ন গ্রুপ, বাংলাদেশের গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল শিল্পের একটি সুপরিচিত ফার্ম, সেলরের মূল কোম্পানি। সেইলর একটি সুপরিচিত ফ্যাশন লেবেল কারণ তার স্বতন্ত্র নান্দনিক এবং অফারগুলির বিস্তৃত পরিসর। তারা সব বয়সের লোকেদের জন্য ট্রেন্ডি জামাকাপড় এবং আনুষাঙ্গিক ডিজাইন করে যারা মনে করে যে তাদের শৈলী এবং ফ্যাশনের অনুভূতি তাদের আলাদা করে তোলে।

এক্স্ট্যাসি: ১৯৯৭ সাল থেকে শুরু হওয়া দেশের স্বনামধন্য রেডিমেড পোশাক ব্র্যান্ড এক্স্ট্যাসির প্রতিষ্ঠাতা তানজিম আশরাফুল হক। এক্স্ট্যাসির অধীনে পুরুষদের জন্য স্বতন্ত্র ব্র্যান্ড ‘তানজিম’ এবং নারীদের জন্য ‘জারজাইন’। শুধুমাত্র তরুণদেরকে উদ্দেশ্য করে গড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠানের সর্বাঙ্গীন মনোনিবেশ থাকে হাল ফ্যাশনের প্রতি।

অঞ্জন্স: ১৯৯৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শাহীন আহমেদের হাত ধরে শুরু হয় অঞ্জন্সের পথ চলা। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটি তরুণের আধুনিক ফ্যাশন নিশ্চিত করে অঞ্জন্স।

কে-ক্র্যাফট: ১৯৯৩ সালে দেশের ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র ও শৈলীকে উপজীব্য করে খালিদ মাহমুদ খান এবং শাহনাজ খান প্রতিষ্ঠা করেন কে-ক্র্যাফট। পুরুষদের জন্য নিজস্ব স্টাইলের রেগুলার ও ফিটেড পাঞ্জাবির সংগ্রহ রেখেছে কে-ক্র্যাফট। পাশাপাশি রয়েছে কাট নির্ভর একরঙা পাঞ্জাবিও।

দর্জিবাড়ি: দর্জিবাড়ি তরুণদের জন্য একটি দুর্দান্ত নৈমিত্তিক পোশাক। দর্জিবাড়ি ২০০৩ সালে হেজাল নামে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং কয়েক বছরের মধ্যেই এটি বাংলাদেশের একটি শীর্ষ টেক্সটাইল ব্র্যান্ডে রূপান্তরিত হয়। তাদের পোশাক প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য সংস্কৃতির সংমিশ্রণ। এবং এই সেট কিশোরদের মধ্যে একটি নতুন প্রবণতা হয়ে ওঠে। তারা সকল বয়সের গোষ্ঠী, অনুষ্ঠান এবং শৈলী জুড়ে গ্রাহকদের জন্য বৈচিত্র্যময় পণ্য এবং বৈচিত্র্য তৈরি করার লক্ষ্য রাখে।

ক্যাটস আই: ক্যাটস আই মনসুন রেইন এবং আনলিমিটেড নামে দুটি পোশাক সংস্থার ব্যবস্থাপনায় রয়েছে। এটি বাংলাদেশের আরও একটা স্বনাম ধন্য ব্র্যান্ড ফ্যাশন জগতে। ১৯৮০ সালে সাঈদ সিদ্দিকী রুমি এবং আশরাফুন সিদ্দিকী ডোরা ক্যাটস আই প্রতিষ্ঠা করেন। ক্যাটস আই তার পুরুষ ও মহিলাদের পোশাক যেমন শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, জিন্স, সালোয়ার কামিজ, জুতা, পোলো শার্ট, গোল গলা এবং অন্যান্য ফ্যাশন অনুষঙ্গের জন্য বিখ্যাত।

রঙ বাংলাদেশ: রঙ বাংলাদেশের আরেকটি শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন হাউস। স্থানীয় তাঁত ও হস্তশিল্প শিল্পকে পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য এটি একটি একচেটিয়া ফ্যাশন ব্র্যান্ড। পোশাকে রঙিন চিত্রের মাধ্যমে আমাদের ঐতিহ্যবাহী ঐতিহ্যকে দৃশ্যমান করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। ভোক্তাদের জন্য ফ্যাশন আইটেম ডেভেলপ করার সময় কাপড় এবং রং নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে রঙ এর গভীর আগ্রহ রয়েছে।

দেশাল: কনক আদিত্য, ইশরাত জাহান এবং সবুজ সিদ্দিকী মিলে ২০০৫ সালে শুরু করেন দেশাল। তিনজনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক পাশ করা। দেশীয় ঘরানার পোশাক কেন্দ্রীভূত এই প্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয়তা লাভ করতে খুব বেশি সময় লাগেনি। বরাবরের মতো এবারও ঈদের পোশাকের সেরা পছন্দগুলোর মধ্যে দেশাল অন্যতম।

টুয়েল্ভ ক্লদিং: টিম গ্রুপের ১২-তম উদ্যোগ হিসেবে ২০১২-এর ১২ ডিসেম্বর আত্মপ্রকাশ ঘটে টুয়েল্ভ ক্লদিং-এর। পোশাক ব্র্যান্ডটির বিশেষত্ব ডিজিটাল প্রিন্ট, স্ক্রিনপ্রিন্ট, কারচুপি এবং এম্ব্রয়ডারি। এমন কারুকাজ পোশাক পরিধানে আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।

ট্রেন্ড্জ: একবিংশ শতকের দেশ সেরা পোশাক ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ট্রেন্ড্জ একটি। ব্যাবিলন গ্রুপের প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে ২০০৪ সালের ১৪ অক্টোবর। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটি তরুণের আধুনিক ফ্যাশন নিশ্চিত করে ট্রেন্ড্জ।

সারা লাইফস্টাইল: স্নোটেক্স গ্রুপের একটি সহযোগী উদ্যোগ হিসেবে ২০১৮-এর মে মাসে চালু হয় সারা লাইফস্টাইল। এস এম খালেদের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানটি সাম্প্রতিক ফ্যাশন হাউজগুলোর মধ্যে শুরু থেকেই বেশ সুনাম অর্জন করেছে।