
পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম ডাক ‘মা’। আজ ১১ মে, বিশ্ব মা দিবস। মায়ের ভালোবাসা, ত্যাগ, এবং নিরন্তর স্নেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি বিশেষ দিন। তবে মা তো কেবল একটি দিনে নয়—তিনি আমাদের প্রতিটি নিঃশ্বাসে, প্রতিটি পদক্ষেপে, জীবনের প্রতিটি মোড়ে জড়িয়ে আছেন।
মা: প্রথম বন্ধন, শেষ আশ্রয়: জন্মের আগ থেকে শুরু করে জীবন সায়াহ্ন পর্যন্ত, একজন সন্তানের সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক আত্মিক, মানসিক ও চিরন্তন। যখন গোটা পৃথিবী বিপরীতমুখী, তখনও মা-ই একমাত্র মানুষ যিনি নিঃস্বার্থভাবে পাশে থাকেন। ছোট্ট হাত ধরে হাঁটতে শেখানো থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ভুল ক্ষমা করার অপার ক্ষমতাও থাকে একজন মায়ের।
মা মানে নিঃশব্দে বয়ে চলা ত্যাগ: একজন মা হয়তো কখনও উচ্চস্বরে নিজের কষ্ট বলেন না, নিজের স্বপ্নের কথা মনে করিয়ে দেন না। সন্তান যেন ভালো থাকে—এই চাওয়াটুকু নিয়েই তার পুরো পৃথিবী। তিনি নিজের হাসি লুকিয়ে সন্তানের চোখে আনন্দ খোঁজেন। আমাদের চোখে হয়তো সেটা ‘স্বাভাবিক’, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা এক অনন্য মানবিক মহিমা।
আজকের মা, আজকের সমাজ: আজকের মা শুধু গৃহিণী নন, তিনি কর্মজীবী, উদ্যোক্তা, শিক্ষক, ডাক্তার, শ্রমজীবী, আবার রাজনীতিবিদও। তিনি ঘর সামলান, সমাজ গড়েন, ভবিষ্যৎ নির্মাণ করেন। একবিংশ শতাব্দীর মা সমাজ পরিবর্তনের অন্যতম চালিকাশক্তি।
মা দিবস—কেবল একটি শুভেচ্ছা নয়: বিশ্ব মা দিবসে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাকে নিয়ে পোস্ট করি, শুভেচ্ছা জানাই। কিন্তু তার চেয়েও জরুরি হলো মাকে বোঝা, তাঁর অনুভবকে সম্মান করা, তাঁকে সময় দেওয়া। কারণ আমাদের জন্য যে নারী দিন-রাত সমানভাবে ছুটে চলেন, তিনি কিছু মুহূর্ত ভালোবাসা ও যত্ন পাওয়ার পুরোপুরি যোগ্য।
মা কোনো একটি জাতি, ধর্ম, বা জাতিগত পরিচয়ের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নয়।
তিনি একটি অনুভব, একটি আলো, একটি আশীর্বাদ। বিশ্ব মা দিবসে তাই আসুন, প্রতিজ্ঞা করি—আমরা মাকে শুধু ভালোবাসব না, বোঝারও চেষ্টা করব। কারণ, একজন মা-ই পারেন একটি জাতিকে আলোকিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিতে।