রাজধানীর মহাখালীর খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। গ্রামীণফোন, বাংলালিংকসহ অন্য মোবাইল পরিসেবা দানকারীদের এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরের নম্বরে কল করতে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে খাজা টাওয়ারে আগুন লাগে। ১৬ ঘণ্টা পর শুক্রবার আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা গেছে, ওই ভবনে এনআরবি ও ঢাকা কোলা নামে একটি ডাটা সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে এনআরবি ডাটা সেন্টার পুড়ে গেছে। লেভেল থ্রি, ম্যাক্স হাব, আমরা নেটওয়ার্কস, আর্থনেট, উইনস্ট্রিমসহ ১০ থেকে ১২টি আইআইজির অপারেশন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ইন্টারেনট সার্ভিস দাতা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যাপ্ত ব্যান্ডউইথ পাচ্ছে না। দুটি বড় মোবাইল অপারেটরের কোর সার্ভিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একাধিক আইসিএক্স প্রতিষ্ঠানের অপারেশন বন্ধ হয়েছে। এতে দেশের অনেক এলাকার মোবাইল ব্যবহারকারী কল করতে সমস্যায় পড়ছেন। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন।
গ্রামীণফোনের অফিসিয়াল ফেসবুকে পেজে দেওয়া এক বার্তায় জানানো হয়েছে, মহাখালীতে খাজা টাওয়ারে আগুনের কারণে কারিগরি বিপর্যয়ে কিছু গ্রাহকের গ্রামীণফোন নম্বর থেকে অন্য অপারেটরে ভয়েস কল দিতে সাময়িক অসুবিধা হতে পারে। আমাদের টিম দ্রুততার সঙ্গে সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে। সাময়িক এ অসুবিধার জন্য অপারেটরটি দুঃখ প্রকাশ করেছে।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ইমদাদুল হক জানিয়েছেন, প্রায় ৭০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ সরবরাহ কমে গেছে। প্রায় ৫০ শতাংশ ইন্টারেনট সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা চেষ্টা করছেন, তবে কবে নাগাদ ইন্টারনেটের পুরো গতি ফিরবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি’র পক্ষ থেকে ক্ষুদেবার্তায় বলা হয়েছে, ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারিগরি কারণে আমাদের কিছু গ্রাহকের রবি থেকে অন্য অপারেটরে অথবা অন্য অপারেটর হতে রবিতে ভয়েস কল করার ক্ষেত্রে সাময়িক অসুবিধা হতে পারে। আমাদের কারিগরি বিভাগ দ্রুততম সময়ে সমস্যাটি সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৫৮ মিনিটে খাজা টাওয়ারে আগুন লাগে।