
দেশের বাজারে ডিমের দাম স্বাভাবিক রাখতে আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলাও শুরু হয়েছে। ফলে চলতি সপ্তাহেই ভারতীয় ডিম দেশের বাজারে প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এরআগে দেশের বাজারে ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর ডিম, আলু ও দেশি পেঁয়াজের দাম বেঁধে দেয় বাণিজ্যমন্ত্রণালয়। কিন্তু সেই ঘোষণার পরও নির্ধারিত দামে এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে না।
জানা যায়, ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে আপাতত আরও পাঁচ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পাঁচ প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমদানি করা ডিম খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম প্রতি পিস ১২ টাকায় বিক্রি হবে।
তবে ডিম আমদানিতে পাঁচটি শর্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
যেগুলো হলো- এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু মুক্ত দেশ হতে ডিম আমদানি করতে হবে। আমদানিকৃত ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকারের মাধ্যমে নির্ধারিত কিংবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে।
সরকার নির্ধারিত শুল্ক বা কর পরিশোধ করতে হবে। নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না। সরকারের অন্যান্য বিধিবিধান মেনে চলতে হবে।
প্রসঙ্গত, দেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়। এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর চার প্রতিষ্ঠানকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়। পরে ২১ সেপ্টেম্বর আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।