ডিসেম্বর ৫, ২০২৪

বৃহস্পতিবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

বাবর ও নাসিমের রেকর্ডেও পাকিস্তানের হার

Naseem Shah and Babar Azam
ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের পেসার নাসিম শাহ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ক্যারিয়ারের একটি অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ উইকেট শিকার করেছেন। রোববার রাতে কিউই ব্যাটার টিম রবিনসনকে আউট করে এই মাইলফলকে পৌঁছান তিনি।

মাত্র ৬৩ ইনিংস খেলে একশ উইকেট শিকার করেছেন এই সিমার। এর মধ্যে টেস্টে ৫১ উইকেট, ওয়ানডেতে ৩২ উইকেট এবং টি টোয়েন্টিতে ১৭ উইকেট পেয়েছেন তিনি।

অধিনায়ক বাবর আজম নাসিম শাহর উপর যথেষ্ট আস্থা রাখেন। শেষ ওভারে বল করতে তাকেই বেছে নেন নাসিম। শেষ ম্যাচে তিনি শেষ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়েছেন। বাবর সম্প্রতি বলেছেন, জাসপ্রিত বুমরার চেয়ে শেষ ওভারে নাসিম শাহ বেশি কার্যকর। অধিনায়কের সেই আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন নাসিম।

এদিকে বাবর ও নাসিমের রেকর্ডেও পাকিস্তানের হেরেছে কিউইদের কাছে।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি রান ছিল অ্যারন ফিঞ্চের। ২ হাজার ২৩৬ রান নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে গত বছর অবসর নেওয়া ফিঞ্চকে ছাড়াতে বাবরের দরকার ছিল ২৮ রান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ২ হাজার ২০৯ রান নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে খেলতে শুরু করেন বাবর।

টস হেরে ব্যাটিং পাওয়া পাকিস্তানের দলপতি বাবর ব্যাটিং করেন ওপেনার হিসেবে। ২৯ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৭ রান করেন তিনি। ২ হাজার ২৪৬ রান করে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি রান এখন বাবরের। ৬৭ ইনিংসে তিনি ব্যাটিং করেছেন ১২৯.৩০। বাবর শীর্ষে উঠায় এই তালিকায় দুইয়ে নেমে গেছেন ফিঞ্চ।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কদের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় সেরা পাঁচে আছেন দুই ভারতীয় ক্রিকেটার। ১ হাজার ৬৪৮ ও ১ হাজার ৫৭০ রান করে চার ও পাঁচে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। রান যেমনই হোক, টি-টোয়েন্টি যেখানে রানের খেলা, সেখানে স্ট্রাইকরেটের দিক থেকে রোহিত ও কোহলি। ১৪৮.৭৩ ও ১৪০.৫৫ স্ট্রাইকরেটে অধিনায়ক হিসেবে রান করেছেন রোহিত ও কোহলি। এখানে বাবর ও উইলিয়ামসনের স্ট্রাইকরেট ১২৯.৩০ ও ১২৩.৬১।

গত রাতে রাওয়ালপিন্ডিতে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি প্রথমে ব্যাটিং করে পাকিস্তান করে ৪ উইকেটে ১৭৮ রান।

রান তাড়া করতে নেমে ১৮.২ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭৯ রান করে ব্ল্যাকক্যাপসরা। ১০ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে কিউইরা।