বাজার পরিদর্শন করে দেখেছি, আখের চিনির নামে অখাদ্য বিক্রি হচ্ছে তাও চড়া দামে বলে মন্তব্য করছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমরা ব্যবস্থাও নিয়েছি। বিএসটিআইকেও জানিয়েছি। বাংলাদেশে যে আখের চিনি উৎপন্ন হয় তার অধিকাংশই চলে যায় বিভিন্ন বাহিনীদের জন্য। বাজারে যেটা বিক্রি হয়, সেটা পুরোই অখাদ্য।
শনিবার (৪ মে) কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ বাজারে আকস্মিক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের পাশের দেশ থেকেও অনেক নিম্নমানের চিনি ঢুকছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। সেই নিম্নমানের চিনিগুলোই প্যাকেটজাত করে বাজারজাত করা হচ্ছে। আমরা এগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান করেছি। প্রশাসনের এগুলো নিয়ে যৌথ উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলেই রোধ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, হাইওয়ের পাশে যে রেস্টুরেন্টগুলো রয়েছে, সেগুলোতে নিম্নমানের খাবার বিক্রি হয়। আমরা এগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে কাজ করবো।
মহাপরিচালক বলেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ায় কোরবানির ঈদের আগেই পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকার মধ্যে চলে আসতে পারে।
ডিজি বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জনগণের উপকারে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারবে লোকবল বৃদ্ধি ও আইনের সংস্কার হলে। বর্তমানে যে পরিমাণ লোকবল দিয়ে ভোক্তা অধিকার, বিএসটিআই ও খাদ্য অধিদপ্তর চলছে তা খুবই দুঃসাধ্য কাজ।
এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক ফকির মোহাম্মদ মনোয়ার হোসাইন, নিরাপদ খাদ্যের কেন্দ্রীয় উপপরিচালক বিএম মশিউর রহমান, বিএসটিআইয়ের উপপরিচালক রিয়াজুল হক, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোশাররফ হোসেন, ভোক্তা অধিকারের উপপরিচালক ফয়েজ উল্লাহ ও ভোক্তা অধিকার কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আসাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক কুমিল্লার রাজগঞ্জ বাজারে পরিদর্শনকালে চিনি, পেঁয়াজ ও মাংসের বাজার–দর পর্যবেক্ষণ করেন এবং সেখানে ভেজাল খুঁজে পান।
এ সময় ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি স্থানীয় সহকারী পরিচালককে নির্দেশ দেন।