এলপিজি (লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস) সিলিন্ডার গ্যাস আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। রান্নার জন্য আমরা সকলেই এটি ব্যবহার করি। কিন্তু সঠিকভাবে ব্যবহার না করা হলে এটি বিপজ্জনক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
নিম্নে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারে ১০টি প্রয়োজনীয় সতর্কতা দেওয়া হল:
১. অনুমোদিত বিক্রেতার কাছ থেকে সিলিন্ডার কিনুন:
সর্বপ্রথম, একটি জাতীয়ভাবে স্বীকৃত প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করুন এবং তাদের অনুমোদিত বিক্রেতার কাছ থেকে সিলিন্ডার কিনুন। সিলিন্ডার কেনার সময়, নিশ্চিত করুন যে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের সিল রয়েছে এবং সেফটি ক্যাপ সুরক্ষিতভাবে লাগানো আছে।
২. মেয়াদ থাকা সিলিন্ডার ব্যবহার করুন:
একজন অনুমোদিত সিলিন্ডার সরবরাহকারী কখনোই মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করবে না। তবে, কেনার সময় ক্রেতাদেরও এ বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার ব্যবহার বিপজ্জনক।
৩. সিলিন্ডারকে সর্বদা উপরের দিকে মুখ করে রাখুন:
স্পষ্ট নির্দেশনা না থাকলে, সিলিন্ডারকে সর্বদা উপরের দিকে মুখ করে সোজা অবস্থায় রাখুন। উল্টো করে বা যেকোনো একদিকে কাত করে রাখবেন না।
৪. সিলিন্ডার স্থাপনের জায়গায় সঠিক বাতাস চলাচল নিশ্চিত করুন:
জায়গায় জমা হওয়া এলপিজি গ্যাস বিপদের কারণ। তাই, সিলিন্ডার স্থাপনের জন্য যতটা সম্ভব উন্মুক্ত পরিবেশের ব্যবস্থা করুন।
৫. সিলিন্ডার স্থাপনের জায়গাটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন:
জঞ্জালপূর্ণ, আবদ্ধ এবং স্যাঁতসেঁতে জায়গায় সিলিন্ডার রাখবেন না। বরং, যেখানে বিশৃঙ্খলা কম এমন খোলামেলা, বিচ্ছিন্ন এবং পরিষ্কার শুষ্ক জায়গা নির্বাচন করুন।
৬. কোনো ধরনের দাহ্য বস্তু সিলিন্ডারের সংস্পর্শে আনবেন না:
কাগজ, অ্যারোসল, পেট্রোল, পর্দা এবং রান্নার তেলের মতো দাহ্য বস্তু সর্বদা এলপিজি সিলিন্ডার থেকে দূরে রাখুন।
৭. রান্নার সময় সতর্ক থাকুন:
রান্না শুরু করার আধ ঘণ্টা আগে থেকেই রান্নাঘরের দরজা-জানালা খুলে দিন। রান্নার পরে চুলার চাবি বন্ধ করতে ভুলবেন না।
৮. নিয়মিত পরিদর্শন ও রক্ষণাবেক্ষণ করুন:
সিলিন্ডার ও এর সংযোগস্থলগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করে নিন। কোন ত্রুটি দেখা পেলে অবিলম্বে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করুন।
৯. সিলিন্ডার পরিবর্তনের সময় চুলা বন্ধ রাখুন:
গ্যাস শেষ হয়ে গেলে রিফিল করার আগে চুলা বন্ধ করে দিন।
১০. সর্বশেষ, ঘরে গ্যাসের গন্ধ পেলে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরকে জানান।