জানুয়ারি ৩, ২০২৫

শুক্রবার ৩ জানুয়ারি, ২০২৫

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলল ২৩ বস্তা টাকা

এবার কি‌শোরগঞ্জ ঐতিহাসিক পাগলা মস‌জি‌দের আটটি লোহার দানবাক্স খু‌লে পাওয়া গে‌ল ২৩ বস্তা টাকা। প্রতি তিন মাস পর পর লোহার দানবাক্সগুলো খোলা হয়। 
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলল ২৩ বস্তা টাকা। ছবি: সংগৃহীত

এবার কি‌শোরগঞ্জ ঐতিহাসিক পাগলা মস‌জি‌দের আটটি লোহার দানবাক্স খু‌লে পাওয়া গে‌ল ২৩ বস্তা টাকা। প্রতি তিন মাস পর পর লোহার দানবাক্সগুলো খোলা হয়। 

আজ শনিবার (১৯ আগাস্ট) সকাল ৮ টার দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার ৩ মাস ১৩ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হল। আর গণনায় প্রায় অংশ নিয়েছে ২০০ জনের একটি দল।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ রাইজিং কুমিল্লাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ৬ মে রমজানের কারণে ৪ মাস পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়ে‌ছিল তখন পাওয়া গিয়েছিল ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা। এ ছাড়া চলতি বছরের শুরুতে ৭ জানুয়া‌রি মস‌জি‌দের দানবাক্সগুলো খু‌লে পাওয়া যায় ২০ বস্তা টাকা। তখন ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা পাওয়া গি‌য়ে‌ছিল।

জনশ্রুতি আছে, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝপথে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। ওই পাগল সাধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে কামেল পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করে এলাকাবাসী।

প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দানবাক্সে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার দান করেন। এ ছাড়া গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রও মসজিদটিতে দান করা হয়।