কুমিল্লা বাসীকে স্বস্তি দিতে ইফতারের সময়েও দায়িত্ব পালন করে যান ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা, রাস্তায়ই সেরে নেন ইফতার।
গতকাল সোমবার (২৫ মার্চ) কান্দিরপাড় মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সম্মানে তাদের সঙ্গে রাস্তায় ইফতারে শরিক হন কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার) ।
সামনেই পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। একারণে কর্মব্যস্ততা বেড়েছে কুমিল্লা বাসিন্দাদের। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রাস্তার যানজটও। সন্ধ্যা নামার আগেই অনেকে বাসায় ফিরতে চান। রাস্তায় থাকে মানুষের ভিড়। একারণে রাস্তায় বাড়ে যানবাহনের চাপ। সেই যানজট নিরসনে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের।
এরপরও ঘরমুখো মানুষ যেন ইফতারের আগেই গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারে এজন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা। সাধারণ মানুষ তাদের প্রিয়জনদের সাথে ইফতার করতে পারলেও, প্রিয়জনদের সাথে ইফতার করা হয় না ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের। ইফতারের সময়ও তাদের ডিউটি করে যেতে হয়।
এর ফাঁকে কোনো ভাবে রাস্তায়ই সেরে নিতে হয় তাদের ইফতার। রাস্তায় দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে ইফতারি করেন তারা, বসারও জায়গা থাকে না অনেক সময়।কখনো বসার জায়গা থাকলেও বসার সময়ও পান না তারা। ইফতারির ফাঁকেই যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে হয়ে তাদের।
ইফতারের সময়ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করে কুমিল্লার পুলিশ সুপার বলেন, ইফতারের সময় সবাই বাসায় ইফতার করার জন্য গাড়ি নিয়ে ছুটছে। কিন্তু আমাদের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন ট্রাফিক সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকে যাতে সবাই স্বস্তিতে বাসায় গিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে ইফতার করতে পারে। এ সময় তারা একহাতে পানির বোতল নিয়ে ইফতার করে এবং অন্যহাতে সিগনাল দিয়ে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখছে। তাদের এই দায়িত্ব পালন শুধু দেশের প্রতি ও দেশের জনগণের প্রতি।
এ সময় কুমিল্লা ট্রাফিক বিভাগের ট্রাফিক সদস্য, কমিনিউটি পুলিশ সদস্যদের, অসহায়, দরিদ্র ও পথশিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণ করে পুলিশ সুপার।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মংনেথোয়াই মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) নাজমুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) কাজী মতিউর ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হোসেন সহ জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।