
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ভারত থেকে পাচার করে আনা ১৬ কেজি গাঁজা আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে মাদক আটকের পর স্থানীয় এক নারী চোরাকারবারি ও তার সহযোগীরা মসজিদের মাইকে বিজিবি সদস্যদের ‘ডাকাত’ ঘোষণা দিয়ে হামলার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের সালুকিয়া এলাকায়, ভারত সীমান্ত পিলার ২১০৬/৪-এর কাছাকাছি স্থানে। বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা বিজিবি ১০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে আমানগন্ডা ফাঁড়ির বিজিবির একটি বিশেষ টহল দল শালুকিয়া এলাকায় চোরাচালানের মালামাল আটকের জন্য ওঁৎ পেতেছিল। এসময় ৫-৬ জন চোরাকারবারি বিজিবি সদস্যদের অগোচরে গাঁজা নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বিজিবি তাদের ধাওয়া করলে চোরাকারবারিরা গাঁজা ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি ঘটনাস্থল থেকে ১৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিজিবি টহল দল এলাকার চিহ্নিত মাদক চোরাকারবারি আলেয়া বেগমের মাদক আটক করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর সে তার সহযোগীদের মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। অভিযোগ উঠেছে, আলেয়া বেগম ও তার সহযোগীরা মসজিদে ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে মাইকিং করে বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলার জন্য লোক জড়ো করার চেষ্টা করে এবং মাদক বহনকারীদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। একপর্যায়ে চোরাকারবারিরা গ্রামবাসীকে একত্রিত করে বিজিবি টহল দলের ওপর আক্রমণের চেষ্টা চালায়। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে পার্শ্ববর্তী বিওপি থেকে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা-১০ ব্যাটেলিয়ান বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মীর আলী এজাজ সাংবাদিকদের জানান, ‘বিজিবি টহল দলকে ডাকাত বলে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা এবং বিজিবির কাজে বাধা দেয়ায় মাদক চোরাকারবারী মোছাঃ আলেয়া বেগম এবং মাদক চোরাচালানী কাজে জড়িত ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’