
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা বাণিজ্যিকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে চিকিৎসার মান উন্নত করার কথা থাকলেও সেখানে আমাদের দেশে তা ব্যাহত হচ্ছে। অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার ফলে সাধারণ মানুষ দেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসাসেবার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে সঠিক রোগ নির্ণয় না হওয়াসহ অন্তত ২১ কারণে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি অনেকে আস্থা রাখতে পারছেন না। সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান না থাকলেও ভারত, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ ১৯টিরও বেশি দেশে প্রতি বছর চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন ৮ লাখেরও বেশি মানুষ।
সাধারণ মানুষের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতাকে কমানোর জন্য দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করতে হবে। রোগীদের এই বিদেশ মুখাপেক্ষিতা রোধে সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সাশ্রয়ী সেবার সঙ্গে চিকিৎসা পর্যটন খাতকেও সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিতে হবে।
এছাড়া একটি জাতীয় বিমা স্কিম তৈরি করতে হবে, যাতে জটিল সার্জারি ও আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসাসহ সব চিকিৎসাসেবা দেয়া সম্ভবপর হয়। এতে মানুষ বিদেশে যাওয়ার চেয়ে দেশে চিকিৎসা গ্রহণে আগ্রহী হয়ে উঠবে।

প্রকৃত অর্থে দেশের স্বাস্থ্যসেবার অবকাঠামো এবং মান উন্নয়ন দরকার।
জটিল রোগ নির্ণয় করার ক্ষমতা বাড়াতে আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদির জোগান নিশ্চিত করতে হবে। দেশের প্রধান শহরগুলোতে বিশ্বমানের হাসপাতাল তৈরি করার দরকার। সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবার বাণিজ্যকীকরণের যে প্রভাব রয়েছে; সে প্রভাব থেকে সাধারণ মানুষ কে মুক্ত করতে হবে। চিকিৎসা খাতকে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।