সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ঘনিষ্ঠ সমকামী চরিত্রে অভিনয় করে আলোচিত বাঁধন

Azmeri Haque Badhon
আজমেরী হক বাঁধন। ছবি: সংগৃহীত

আজমেরী হক বাঁধন এ প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তবে গেল ৫ অক্টোবর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ‘খুফিয়া’ নামের একটি সিনেমা। এতে বিতর্কিত একটি চরিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হয়েছেন তিনি। এটি নির্মাণ করেছেন বিশাল ভরদ্বাজ।

এর আগে এই ছবিতে জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পী মেহজাবিন চৌধুরী ও বিদ্যা সিনহা মিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু তারা ছবির গল্প দেখে পরিচালককে ফিরিয়ে দেন।

জানা যায়, ‘খুফিয়া’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হলো বাংলাদেশের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের। ওয়েব ফিল্মটিতে হিনা রহমান বা অক্টোপাস চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাঁধন। আর প্রধান চরিত্রের অভিনেত্রী টাবু অভিনয় করেছেন কৃষ্ণা মেহরা চরিত্রে। তাদের মধ্যে সমকামী সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফলে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যেও দেখা যায়।

সিনেমাটিতে তাদের এই ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নিয়েও জোর চর্চা চলছে। এসব বিষয় নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বাঁধন।

‘অক্টোপাস’ ও ‘কৃষ্ণা’-এর ঘনিষ্ঠ দৃশ্য, যা নিয়ে চর্চা চলছে। এ দৃশ্যের শুটিং কীভাবে হয়েছিল? জবাবে বাঁধন বলেন, ‘‘খুফিয়া’ সিনেমার টিম ভীষণ পেশাদার। পেশাদারিত্বের সঙ্গেই কাজটি হয়েছে। আমরা যখন শট দিয়েছি, তখন সেট খালি করে দেওয়া হয়েছিল। মনিটরটা নিচে রাখা হয়েছিল। সেটে ছিলাম, আমি, টাবু, বিশালজি আর সিনেমাটোগ্রাফার। এক টেকেই শুট হয়েছে। আগেই ব্লকিং ক্যামেরাসহ করে নিয়েছিলাম। তা ছাড়া মুভমেন্ট, কতটুকু কোথায় কী অভিব্যক্তি থাকবে, সবই আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। তাই এটা করতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি।’’

দর্শকদের প্রতিক্রিয়া যুক্ত করে বাঁধন বলেন, ‘বাংলাদেশে আমার যে দর্শক, তাদের প্রতিক্রিয়ায় আমি মুগ্ধ। এমনকী ভারতের দর্শকদের কাছ থেকেও ভালো প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি।

অক্টোপাস (বাঁধন) ও কৃষ্ণা মেহরার (টাবু) অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি তাদের পছন্দ হয়েছে। এটা নিয়েই এখানে বেশি চর্চা হচ্ছে। টাবুর সঙ্গে আমার রসায়নটা ভীষণ কাব্যিক। এই রসায়নের একটা আলাদা ছন্দ আছে, যা দ্য গ্রেট বিশাল ভরদ্বাজ তুলে ধরেছেন। আসলে বাংলাদেশে আমার একটা আলাদা দর্শক আছে, তারা অনেক বেশি প্রগতিশীল ও সংবেদনশীল। আর তারা এটাকে সুন্দরভাবে গ্রহণ করেছেন। তাতে আমি খুশি।’

বাঁধন আরও বলেন, আমার বয়স এখন চল্লিশ। ৩৫ বছর বয়সে জীবন নতুন করে শুরু করেছি। তার আগে একটা বাঁধন ছিল, তারপরেও একজন বাঁধন রয়েছে। আগে পরিবার, বন্ধু, সমাজের জন্য বাঁধন বেঁচেছে। এখন বাঁধন বাঁচে নিজের জন্য। কোনো শিকল নেই তার।