
বিরাট কোহলির টেস্ট ক্রিকেট থেকে আকস্মিক অবসরের ঘোষণায় যখন ক্রিকেট বিশ্ব শোকস্তব্ধ, ঠিক সেই মুহূর্তেই সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার ঝড় তুলেছে তার স্কুলজীবনের একটি পুরনো মার্কশিট। ২০ বছর আগের, ২০০৪ সালের দশম শ্রেণির সিবিএসই পরীক্ষার এই মার্কশিটটি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে।
যদিও এই মার্কশিটটি প্রথমবার প্রকাশ্যে আসে ২০২৩ সালে, আইএএস কর্মকর্তা জিতিন যাদবের একটি টুইটের মাধ্যমে। তবে কোহলির টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর প্রেক্ষাপটে এটি আবারও নেটিজেনদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। কারণ, কিছুদিন আগেই সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) ২০২৫ সালের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে।
ভাইরাল হওয়া মার্কশিট অনুযায়ী, বিরাট কোহলি দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ৬০০ নম্বরের মধ্যে মোট ৪১৯ নম্বর অর্জন করেছিলেন। ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান ও হিন্দি বিষয়ে তার ফল বেশ ভালো ছিল। এই তিনটি বিষয়ে তিনি যথাক্রমে ৮৩, ৮১ এবং ৭৫ নম্বর পান। তবে গণিত (৫১), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (৫৫) এবং প্রাথমিক তথ্যপ্রযুক্তিতে (৭৪) তার নম্বর তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
মার্কশিটটি শেয়ার করে আইএএস কর্মকর্তা জিতিন যাদব একটি অনুপ্রেরণামূলক বার্তা লেখেন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘যদি কেবল শিক্ষাগত নম্বরই জীবনের সাফল্যের একমাত্র মাপকাঠি হতো, তাহলে আজ গোটা দেশ বিরাট কোহলির পাশে এসে দাঁড়াত না। সাফল্যের আসল চাবিকাঠি হলো প্রবল আগ্রহ (প্যাশন) এবং একাগ্রতা (ডেডিকেশন)।’
তার এই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং বহু মানুষ এতে ইতিবাচক মন্তব্য করেন। একজন ব্যবহারকারী লেখেন, ‘কোহলির এই মার্কশিটের সঙ্গে তার অদম্য নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রম যুক্ত হয়েছিল, যা তাকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘সাফল্য কখনোই শুধু গণিত বা বিজ্ঞানের নম্বরের উপর নির্ভর করে না।’ অন্য একজন যোগ করেন, ‘নম্বর তো কেবল কাগজের কয়েকটি সংখ্যা। জীবনে এগিয়ে যাওয়ার আসল মূল্য নির্ধারিত হয় চেষ্টা, একাগ্রতা এবং আত্মবিশ্বাসের মতো গুণাবলী দিয়ে।’